বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ||
আসল অপরাধীদেরকে বাঁচাতে সাংবাদিকদের উপর মামলা। সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের গোপলারবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া ভুল করায় ও প্রাইভেট না পড়ার জন্য অষ্টম শ্রেণীর জনৈক দুই ছাত্রীকে বেত্রাঘাতে শাস্তি দেওয়ার জের ধরে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শ্রেণিকক্ষে সালিশ ডেকে ইংরেজী শিক্ষক শেখ মারজান আহমদকে শিক্ষার্থী ও অভিভবাকদের সামনে হাত জোর করে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধমে ফেসইবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে, অনেকে শিক্ষক হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে শেয়ার করেন। ঐ ভিডিওটি "গ্রামবাংলা টোয়েন্টিফোর টিভি" নামে একটি ফেসইবুক পেইজে ভাইরাল হয়। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শাকিল আহমেদ, দেবপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ও জেলা এনসিপির কর্মী পরিচয় দেওয়া আরিফ উদ্দিন তালুকদার, সিলেট মহা নগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক শাহ জাহান আলী, হবিগঞ্জ সহকারী এসপি, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য বশির আহমদ, কয়েকজন সাংবাদিক সহ শত শতসহস্র ছাত্র- জনতার উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে শিক্ষককে মব সৃষ্টির মাধ্যমে লাঞ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় গোপলার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি সহ শিক্ষকদের মধ্যে প্রশাসনিক দূর্বলতা জন সম্মূখে প্রকাশিত হয়। এই নেক্কারজনক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তাদের পাপকে ঢাকতে একজন সংবাদকর্মীকে বলির পাটা বানায় কতিপয় দূনীতিকারী চক্র। এবং স্কুলের ছাত্র- ছাত্রীদের উস্কানি দিয়ে সাংবাদিক আজাদের গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফা ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে শিক্ষককের স্বভাবজাত ছাত্রদের নিকট থেকে পড়া-লেখা আদায়ে অনেক সময় কঠোর শাসনে চলে যায়। এমনি ভাবে শিক্ষক মারজান আহমদ এক পর্যায়ে উক্ত দুই ছাত্রীকে বেতাঘাত করেন। অথচ এই মামুলি বিষয়কে কেন্দ্র করে কিছু দূনীতিবাজ মব সৃষ্টি করে জন সম্মূখে একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি সারাদেশের মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। এই বিষয়টিকে ধামা চাপা দিতেই অন্যদিকে মোরঘুরানোর যড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। প্রকৃতপক্ষে সাশিল বিচারকরা তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের রায় কার্যকর করেছে। এবং উপস্থিত সাংবাদিক তার সংবাদ প্রচার করেছে। এই সংবাদকে কেন্দ্র করে মামলা ও হুলিয়া জারি করে সংবাদ মাধ্যমের গলা চেপে ধরার অপচেষ্টায় তারা সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতায় ও মামলা মোকদ্দমায় চরম ভাবে হেনস্তা করেছে। সাংবাদিকরা বর্তমান সময়ে দূনীতিবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এটা তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গত শুক্রবার রাতে সাংবাদিক এম এ আহমদ আজাদের বিরুদ্ধে শিকার শিক্ষক মারজান আহমদ নবীগঞ্জ থানায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের আওতায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় নবীগঞ্জের কর্মরত সকল সাংবাদিক এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং সাথে সাথে এম এ আহমদ আজাদের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যহারের জোর দাবী জানাই।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন