বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের জালালসাফ গ্রামে এক গৃহবধু বাথরুমের দরজা বন্ধ করে আত্নহত্যা করছে।
পুলিশ ও তার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গতকাল (১৮আগষ্ট) সোমবার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের জালালসাফ গ্রামের ডিশ শ্রমিক হোসেন মিয়ার স্ত্রী ছালমা আক্তার (৩০) বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে তার স্বামীর বাড়ির দক্ষিণ দিকের দিকে পরিবারের অগোচরে বাথরুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে নিজের পড়নের ওড়না দিয়ে আত্নহত্যা করে। এ ঘটনার তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে নবীগঞ্জ গোপলা বাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরুত হাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
কয়েকটি সূত্রে আরো জানাযায়, ঘটনার দিন নিহত ছালমা আক্তার প্রতিদিনের মত সংসারের সব কাজ কর্মে স্বাভাবিক ভাবেই ব্যস্ত ছিলেন। তার এ আত্মহত্যার ঘটনায় আশপাশ ও পাড়া প্রতিবেশীরাও নানান দুঃচিন্তায় পড়েছেন। প্রতিবেশীরা জানান, তাদের সংসারের মধ্যে কোনো কলহের সমস্যাও কখনই ছিলনা। হঠ্যাৎ করে কি কারণে হোসেনের বউ ফাঁস লাগাইলো তা আমরা বুঝে ওঠতে পারছিনা। হয় তো এখানে লুকিয়ে আছে কোন অজানা ঘটনা, না হয় কোন কারণ ছাড়া কেন সে আত্মহত্যার পথ বেচে নিবে? এ প্রশ্ন অনেকেই রাখেন। এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর রহস্য উদঘাটন করার জন্য অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে এই আত্নহত্যার বিষয়ে ছালমা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন জানান যে, ছালমা আক্তার ও হোসেন মিয়ার মধ্যে তাদের সংসারিক কোন ধরনের সমস্যা ছিলো না। তাদের সংসার মোটামুটি ভালোই চলছে। এছাড়া তাদের কারো উপরই কোন অভিযোগ ও নেই।
এ ব্যাপারে আত্মহত্যায় নিহত ছালমা আক্তারের স্বামী কান্না জড়িত কন্ঠে তার স্ত্রীর এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা। বার বারই চোখের জল ফেলে কাদছেন।
এ ব্যাপারে, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ কামরুজ্জামান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা একটি আত্নহত্যার মতো ঘটনা। কিন্তু প্রকৃত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে হলে লাশের সুরহাল রিপোর্ট না আশার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছেনা। আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছে
লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট আসলে আপনাদেরকে অবশ্যই আমরা জানাবো।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন