ওসমানীনগরে বিলের দ খ ল নিয়ে উ ত্তে জ না

gbn

রনিক পাল, ওসমানীনগর //

সিলেটের ওসমানীনগরে একটি বিলের (জলাশয়) সরকারি ইজারা নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মৎস্য জীবীদের দিয়ে নামমাত্র অর্থে সরকারি ভাবে বিলের ইজারা নিয়ে বিলটি সম্পর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

 

 

 

অভিযোগ উঠেছে, বিলের ইজারা নিতে ব্যবহার করা হচ্ছে মৎসজীবীদের। মৎসজীবীদের সংঘটনের নামে সরকার ইজারা প্রদান করলেও বিলের রক্ষণাবেক্ষন ও দখলে রয়েছে একটি চক্র। তারা প্রভাব খাটিয়ে হাওর এলাকার নিন্মঞ্চলে বিলের পার্শবর্তী মালিকানাধীন খাল-পুকুর,ডুবা থেকেও মাছ নিয়ে যাওয়াসহ শুননো মৌসমে মাছ ধরতে বিলের পানি কমিয়ে আনার কারণে কৃষিক্ষেতে পানি না পাওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় কৃষকসহ বাসিন্দারা। এসব ঘটনায় ৫ গ্রামের বাসিন্দারা আলোচনা সভা করে গত ২ জনু সিলেট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সুন্দিখলা মৌজার কালাআমরি বিল ইজারা নেয় মৎস্যজীবী সমিতি নামে জেলেদের সংগঠন। কিন্তু অবৈধ ভাবে সরকারি বিলটি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি লিয়াকত মিয়া, বরকু মিয়া, রশিক মিয়ার কাছে দখল বিক্রি করা হয়। বিলের দখল পেয়ে চলতি বছরের ভাদ্র মাসের প্রথম থেকে মালিকানা জায়গায়ও চারপাশে নেটের জাল দিয়ে বাদ তৈরীসহ গ্রামবাসী যাতে মাছ ধরতে না পারে সেই জন্য পাহাদার নিয়োগ করেন তারা। যার কারণে স্থানীয় ৫টি গ্রামের গরিব-অসায় মানুষ তাদের মালিকানা জলাসয় থেকেও ঝাকি জাল দিয়ে মাছ ধরতে পারে না। ফলে জাল যার জলা তার মৎস্য অধিদপ্তর এই নীতি বাস্তাবায়ন হচ্ছে না। ইজারার নামে বিল ও মালিকানাধীন পুকুর থেকেও মাছ ধরে নেয়া হচ্ছে। নিজেদের মালিকানা পুকুর ডুবা থেকেও মাছ ধরতে দেয়া হচ্ছে না স্থানীয়দের। এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে প্রভাবশালীরা স্থানীয়দের নানা ভাবে হুমকি ধামকি এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছেন। মালিকানধীন পুকুরে কিটনাশক প্রয়োগ করে মা ও পোনা মাছ ধংস করার পাশাপাশি বিষ প্রয়োগের ফলে পানি দুষিত হচ্ছে। দুষিতপানি জমিতে দিলে ফসলেরও ক্ষতি হয়। শুকনো মৌসমে সেচ দিয়ে বিলের পানি কমিয়ে মাছ ধরারা কারণে ফসলি জমিতে পানি দিতে পারনে না কৃষকরা। বিগত ফল্গুন মাসে হাওরে ৩ থেকে ৪টি সেচ পাম্প দিয়ে বিলের পানি শুকিয়ে মাছ ধরেন তারা। এতে করে পানি না পেয়ে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্মখি হন কৃষকরা। সম্প্রতি সুন্ধিখলা, মধ্য সুন্ধিখলা, সম্মাণপুর, লালা তাজপুর, মোকামপাড়া গ্রামের স্থানীয়রা ভেড়ারচর বাজারে আলোচনা সভা করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। চলতি বছর ইজারা নিয়ে বিলের দখলটি বিক্রয়ে একই সমস্যার সম্মখি হচ্ছেন ৫ গ্রামের জনসাধারণ। অভিযোগটি আমলে নিয়ে দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনে দাবি জানিয়েছেন তারা।

 

 

স্থানীয় লুৎফুর রহমান মাইকেল আহমদসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এসব বিষয়ে একাধিকবার ইজারা গ্রহনকারীদের সাথে কথা বললে তারা জানায় তাদের দখলে নেই বিল। যারা নিয়ন্ত্রণ করছেন তাদের সাথে আলোচনা করলেও স্থানীয়দের কোন পাত্তা দিচ্ছেন না তারা। ফলে বিল দখল নিয়ে এলাকায় প্রবাবশালীদের ও স্থানীয়দের মধ্যে টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করেছে। যে কোন সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে।

 

 

বিলের ইজারাদার মৎসজীবী সংগঠনের সভাপতি সুবুধ নমসূত্র বলেন, কালাআমরি বিলের সরকারি লিজ নেয়ার বিষয়টি আমি এবং আমার সংগঠনের সদস্যদের অজানা। সাধারণ সম্পাদক অভয় চরণ কিভাবে লিজ আনছেন সেই বিষয়টি তিনি ভাল বলতে পারবেন।

 

সাধারণ সম্পাদক অভয়চরণের কাছে এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

 

 

 অভিযুক্ত রফিক মিয়া বলেন, বিলের দখল কিছুদিনের ভিতরে আমাদের বুঝিয়ে দেয়ার কথা রয়েছে। প্রতি বছরই শেষ দিকে বিলের দখল আমিসহ কয়েকজনকে দেয়া হয়। তবে, মালিকানাধনীন জমি থেকে আমরা কোন মাছ ধরছি না।

 

 

ওসমানীনগর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মাশরুপা তাসলীম বলেন, মৎস্যজীবীরা ইজারা গ্রহন করে কাউকে ইজারা প্রধান করলে  বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

 

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন