২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলটাও ডট করলেন জস হ্যাজলউড। সিঙ্গেল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও শশাঙ্ক সিং সেই রান নিলেন না। কিন্তু ততক্ষণে গাণিতিকভাবে নিশ্চিত হয়ে যায় পাঞ্জাব কিংসের আর জয়ের সম্ভাবনা নেই। কারণ, ৪ বলে ৪ ছক্কা মেরেও তো ২৯ রান নেওয়া সম্ভব নয়।
হ্যাজলউডের বল ডট হতেই দুই হাতে মুখ ঢাকলেন বিরাট কোহলি। আহমেদাবাদে মোতেরা স্টেডিয়ামের গ্যালারির একটি অংশ তখন উঠে দাঁড়িয়েছে। সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নশিপের আনন্দানুভূতি তৈরি হতেই কোহলির চোখে পানি এসে গিয়েছিল তখন। ক্যামেরার লেন্স চোখে পড়তেই দেখা গেলো, সেই চোখে টলমল পানি।
এই আনন্দাশ্রু শেষ পর্যন্ত স্থির থাকলো। হ্যাজলউডের শেষ বলটা ছক্কা মেরেছিলেন শশাঙ্ক সিং; কিন্তু সেদিকে আর কারও কোনো খেয়াল নেই। সবাই মেতে উঠলো উৎসবের আনন্দে। স্বাভাবিকভাবেই সব আলো গিয়ে পড়লো বিরাট কোহলির ওপর। আনন্দ-উদযাপনের মধ্যমণি তখন তিনি। এরপর নিজে নিজেই ল্যাপ অব অনার দিতে শুরু করলেন গ্যালারিকে উদ্দেশ্য করে।একটু পর বিরাট কোহলিকে দেখা গেলো ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্টের কোলে লাফিয়ে উঠলেন। এরপর দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। এরপর মাঠে নেমে এলেন ক্রিস গেইল। তিনিও অভিনন্দন জানালেন কোহলিকে। তাদের পর মাঠে নামলেন কোহলির স্ত্রী বলিউড কুইন আনুশকা শর্মা। তাকে জড়িয়ে ধরেও আনন্দ উদযাপন করলেন কোহলি।
যাকে নিয়ে এত আলোচনা, আনন্দ-উল্লাস সেই বিরাট কোহলি এসব উৎসবের মধ্যমণি হওয়ার তুমুল দাবিদার। আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গুলুরুর সঙ্গে যুক্ত কোহলি। তিনবার দলকে তুলেছেন ফাইনালে। জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- সব ট্রফিই জিতেছেন কোহলি; কিন্তু এই এক আইপিএল ছাড়া।
অবশেষে ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ইতিহাসে বেঙ্গালুরুর হয়ে শুরু থেকে ওতপ্রেতভাব জড়িত কোহলি। ম্যাচও খেলেছেন বেশি। আইপিএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন ২৬৭ ম্যাচ। রান করেছেন ৮ হাজার ৬৬১। সেঞ্চুরি আটটি। ১৮ বছর ধরে ক্রিকেটকে দিয়েছেন অনেক, এবার সময় হয়েছে কোহলিকে কিছু দেওয়ার। সেই আইপিএল এবার দুহাত ভরে দিয়েছে কোহলিকে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন