জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
সিলেট মহানগরীর লালাদিঘীরপাড়ে একটি ক্লাবের নাম ভাঙিয়ে ৪ শতক ভূমি দখলের চেষ্টা করছে একটি চক্র। চক্রটির হোতা আতাউর রহমান আনা (৬০) নামের এক ব্যক্তি। তবে তার পেছনে আছেন বহিষ্কৃত এক বিএনপি নেতা। তিনিই তাকে শেল্টার দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
রোববার (১৮ মে) দুপুর ২টার দিকে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব অভিযোগ করেন নগরীর লালাদিঘীরপাড়ের বাসিন্দা সালেহা বেগম। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তারই আত্মীয় ফিরোজ আহমদ।
সালেহা জানান, দীর্ঘদিন বেদখল থাকা সম্পত্তি আদালতের রায়ে তিনি ফিরে পান। ওই ভূমিতে দুটি দোকানকোটা নির্মাণ করে ভোগ করছেন তারা। ৪৬ নং খতিয়ানের ৭৪৭ নং দাগে তার শ্বাশুড়ির ২৪ শতক জায়গার ২০ শতক জীবদ্দশায় বিক্রি করা হয়েছে। অবশিষ্ট চার ৪ শতক ভূমি তারা ভোগ দখল করছেন। কয়েক বছর আগে থেকে ওই ৪ শতক ভূমির দখল নিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে নগরীর দক্ষিণ কাজলশাহ এলাকার ১৬৩/১ নং বাসার মৃত ওয়ারিছ আলীর ছেলে আতাউর রহমান আনার।
তিনি নানা টালবাহানায় এই জায়গা দখল নিতে চেষ্টা চালান। তাকে শেল্টার দিচ্ছেন ১১নং ওয়ার্ডে গত নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রহিম মতছির ও তার অনুসারী আরাফাত অপু।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি স্থানীয় একটি ক্লাবের নামে ওই ৪ শতক জায়গা জবরদখলের চেষ্টা চালান আনা। ক্লাবের নামে সাইনবোর্ডও স্থাপন করে দেন। অভিযোগ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সাইনবোর্ডটি অপসারণ করে। দুপক্ষকে নিজেদের যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে রিকাবীবাজার ক্যাম্পে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সেনা বাহিনী। সেখানে যাওয়ার পর ভূমির মালিকানা দাবিদার হয়ে নামমাত্র একটি স্কেচম্যাপ দেখান আনা। কাগজপত্র ঠিক না থাকায় তাকে আটক করে কোতোয়ালি পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু ৩ দিন পর আনা জামিনে বেরিয়ে আবারো জায়গা দখলের পাঁয়তারা শুরু করেছেন। তিনি ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
এতে সালেহা ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এছাড়া আনার ভয়ে সাহেলা বেগমের পরিবারের প্রবাসী সদস্যরাও দেশে আসতে পারছেন না, বলে দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে আমাদের সম্পত্তি থেকে কয়েকটি এলাকার পানি যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৪ শতক জমি সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে দান করি, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। এরপরও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এবং বিগত কয়েকদিন আগেও দক্ষিণ কাজল শাহ এলাকায় পানি যাতায়াত ও রাস্তা সংস্কারের কাজে সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে জমি প্রদান করি। অথচ তারা নিজেরাই এখন সমস্যার সম্মুখিন।
এ অব্স্থায় আনাকে দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সালেহা বেগম।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন