বাগেরহাটে আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ উধাও অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ গ্রাহকেরা

gbn

এস. এম.সাইফুল ইসলাম কবির.বাগেরহাট   :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জসহ নয় উপজেলায় আকাশে মেঘ দেখার অজুহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুতের লাইন। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিটার রিডিং না দেখে কাল্পনিক বিল করা, মিটার সরানো, ট্রান্সমিটার জ্বলে যাওয়া, ফেইস পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে রীতিমতো চলছে গ্রাহক হয়রানি। তবে পল্লীবিদ্যুতের জিএম বলছেন, ঝড়ের কারণে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ থাকে এছাড়া সব কিছু নিয়ম মেনেই চলছে।

বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে আলাপ করলে একাধিক গ্রাহকরা  জানান, এক মাসে পল্লীবিদ্যুতের লাইন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ শরণখোলাসহ ৯ উপজেলায়  বিভিন্ন  এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ফলে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

আকাশে মেঘ দেখেই সোমবার সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয় পল্লীবিদ্যুতের লাইন। আর মাঝে মধ্যে মেরামতের নাম করে বিদ্যুৎ থাকে না পুরোদিন। এরজন্য করা হয় না কোনো রকম প্রচার প্রচারণা।

অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল নাম্বার বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের জানানো হলেও ওইসব মোবাইল নাম্বার প্রায় বন্ধ থাকে। অধিকাংশ সময় পল্লীবিদ্যুতের লোকজন মিটারের কাছে না গিয়ে এবং মিটার রিডিং না দেখে কাল্পনিক বিল করে থাকে, অফিসে অভিযোগ করে ও গ্রাহকরা এর কোনো সুরাহা পায় না।

লাইন কেটে দেওয়ার ভয়ে গ্রাহকরা ওইসব ভূতুড়ে বিলই পরিশোধ করে থাকেন। মিটার সরানো, ট্রান্সমিটার জ্বলে যাওয়া, ফেইস পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে রীতিমতো চলছে গ্রাহক হয়রানি।

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার  পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহক মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এস এম সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, নানা সমস্যার কারণে পল্লীবিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় না। পেলেও তারা গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আর প্রায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর সরালিয়া এলাকার এস এম জাহাঙ্গীর আলম  বাদুরতলা এলাকার মোস্তফা সেখ  বলেন, সোমবার  ভোর থেকেই কোনো ঝড় বৃষ্টি ছিল না। অথচ সকাল থেকেই প্রায় ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এরপর একাধিকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। এ গরমে বাসায় টিকে থাকার উপায় নেই।

পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী আব্দুর রব ফকির  বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা ঠিকমতো ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছি না।

বাগেরহাট  পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির  জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সুশান্ত রায়  বলেন, গত দুই মাসে বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে মেরামতের জন্য ও কিছু সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। আগামী মাস থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন