মিজানুর রহমান মিজান ||
মানুষ স্বপ্নবিলাশী।পরিবর্তন চায়।পরিবর্তিত পরিবেশ,সমাজ ভাল লাগে।তাইতো বদলায়,বদলাতে এক প্রকার আনন্দ উপভোগ করেন,নেশা জাগে পরিবর্তনে।উৎসুকতা বৃদ্ধি পায়।সেখান থেকেই উৎসাহিত হন বদলাতে,পরিবর্তন করতে।এ পৃথিবী পরিবর্তনশীল।প্র্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে,বদলে যাচ্ছে।পুরাতনের সহিত বসবাস ভালো লাগে না।এক ধরণের একগুয়েমীর সৃষ্টি হয়।চাই নিত্য নুতন।আরেকটু উন্নত,সমৃদ্ধ,অগ্রসর হওয়া।তা হোক সমাজ,পরিবেশ,পোষাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি।অনেক কিছু মানুষের অজান্তেই পরিবর্তন হয়ে যায়।বদলে যাবার পর দৃশ্যত: মানুষ অনুভব,অনুভুতিতে,বাস্তবে বুঝেন পরিবর্তন হয়ে গেছে।বৃদ্ধি পায় আকর্ষণ।তা থেকে আকর্ষিত হয়ে এগিয়ে যান আরো সম্মুখের পানে।প্রকৃতিতেও আসে পরিবর্তন, পরিবর্ধন,বদলের আবহাওয়া।বহে সুবাতাস।অনুপ্রাণিত হন অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তনের দিকে।যাক আমরা এবার চলে যাব মুল প্রসঙ্গের দিকে। বিগত ১৯৭০ দশকে আমাদের এলাকায় আমি দেখেছি প্রত্যেকটি গ্রামে উপরের ছবিটির মতো অধিকাংশ বাড়িঘরের চিত্র।খুব নগন্য সংখ্যক ঘরবাড়ি ছিলো টিন,ইট পাথরের তৈরী।কিন্তু আজকের দৃশ্যপট অনেক অনেক পরিবর্তিত,পরিবর্তনশীল,বদলের আবহাওয়ায়।আগেকার দিনে মানুষ ছন,বিন্না জাতীয় উদ্ভিদ দ্বারা গৃহের ছাউনি এবং বন বা আড়া জাতীয় উদ্ভিদ দ্বারা ঘরের বেড়া তৈরী করতেন।পাশাপাশি গৃহগুলো দেখতে খুবই মনোরম,চমৎকার লাগতো।সকলেই তা গ্রহণ,মেনে নিতেন।এক ভাই ছনের গৃহ থেকে উন্নত পরিবেশে যেতে অনেক সময় ভাবনায় পড়ে যেতেন।আমার সহোদর ভাইকে ছনের গৃহে রেখে আমি টিনের বা ইটের গৃহে বসবাস করা বেমানান বলে মনে করতেন অনেকেই।কিন্তু আজ সে ভাবনার পরশ প্রায়ই অনুপস্থিত।আমার যে ভাবে সামর্থ আছে বা হয়েছে।আমি ভিন্নতর পরিবেশ তৈরী করতে বিবেক বাঁধ সাধে না।সহমর্মিতা অনেক ক্ষেত্রে উধাও হয়ে গেছে।আজ উপরোল্লিখিত এলাকায় মোটেই ছনের,বনের বেড়াযুক্ত গৃহ একেবারে উধাও।ইট পাথরের গৃহের কাছে পরাজিত হয়ে যেন বনবাসে চলে গেছে ছন, বনের গৃহ।আবার কেহ কেহ সামর্থ থাকা সত্তেও ছনের গৃহে বসবাস করতেন সৌখিন,সুন্দর ও আরামদায়ক জীবনযাপনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বা প্রাধান্য দিয়ে।কারন স্বরুপ তখন শুনতে পেতাম অনেকের মুখে।টিন,ইট পাথরের গৃহ থেকে ছনের গৃহে গরম কম লাগার আরামদায়ক বসবাসের উপযোগিতা।করেছেন অনেকে সে মতে বসবাস।তখন বিদ্যুৎ ছিল না।ছিল না অতি আধুনিকতা,যান্ত্রিকতা নির্ভরশীলতা।আজকের প্রজন্মকে এ জাতীয় গৃহ সম্পর্কে বুঝাতে হলে অনেক কাটখড় পোহাতে হবে।বাস্তবতা এক জিনিষ আর বলে বুঝানো আরেক বিষয়।অনেক বেগ পেতে হবে বুঝাতে হলে।স্মৃতির পশরা খোলে গেল আমার এ গৃহের চিত্রটি দেখে।তাই আমার আজকের এ লেখার মুল উপজীব্য বিষয়।ভুলক্রুটি ক্ষমা চাই।
 
                            
                             
                                                                                                
 
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                    
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন