গাজা কিনে নিতে চান ট্রাম্প

gbn

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকাকে ‘ক্রয় ও মালিকানায় নেওয়ার’ পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি, অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডকে ‘বড় রিয়েল এস্টেট প্রকল্প’ হিসেবে দেখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

রোববার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ওখানে এখন আর কিছুই নেই, পুরো জায়গাটিই ধ্বংসস্তুপ। এখন আমরা এটির মালিকানা নেবো ও নিশ্চিত করবো যে হামাস যেন আর ফিরে আসতে না পারে।

 

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আর সেখানে ফিরে যেতে চান না। বরং তারা অন্য কোথাও নিরাপদ আশ্রয় পেলে সেখানেই থাকতে পছন্দ করবেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা কেবল গাজায় ফিরে যেতে চাচ্ছেন, কারণ এই মুহূর্তে তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু যদি তাদের অন্য কোনো নিরাপদ জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে তারা গাজায় ফিরে যেতে চাইবেন না।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজাকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিলে এটি ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে বিশ্লেষকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প নিজেও স্বীকার করেছেন যে, এটি কার্যকর করতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

 

এদিকে, ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, গাজা কোনো ক্রয়যোগ্য সম্পত্তি নয়। এটি ‘আমাদের দখলকৃত’ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন সংকটকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার চোখে দেখলে, তা চরম ব্যর্থতার দিকেই ধাবিত হবে। আমাদের জনগণ সব ধরনের বাস্তুচ্যুতি ও উচ্ছেদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করবে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে বৈপ্লবিক ও সৃজনশীল বলে প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে, ট্রাম্পের গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি সরকার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, ফিলিস্তিনি নেতারা ও বেশ কয়েকটি আরব দেশ এই পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার খর্ব করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখছে। মিশর ও জর্ডান আগেই ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

 

রোববার সৌদি আরব নেতানিয়াহুর এক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। সৌদি ভূমিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব ভূমিতে থাকার অধিকার রয়েছে। তারা কোনো বহিরাগত নয়, যাদের ইচ্ছেমতো বিতাড়িত করা যাবে।

 

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন