জাতির চরম ক্রান্তিকালে শহীদ জিয়াউর রহমানের ঐক্যের নীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জোরদার করতে হবে মন্তব্য করে লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত আন্দোলন সংগ্রাম করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।
আজ (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে বহুদলীয় গণতন্ত্র শহীদ জিয়া ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, শহীদ জিয়া ও বিএনপির প্রতি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের চিরকৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তারা বলেন, স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান গণআকাক্সক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে, বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, সকল রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে যখন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় তখন একদিকে আওয়ামী লীগ আবার রাজনীতি করবার অধিকার ফেরত পেয়েছিলো, অন্যদিকে শহীদ জিয়ার কৃপায় দেশে ফেরত এসে দলীয় রাজনীতির হাল ধরেছিলেন শেখ হাসিনা। শহীদ জিয়ার আনুকূল্য পেয়েছিলেন বলেই শেখ হাসিনা এই দেশের মাটিতে রাজনীতি করার ও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, দেশের জনগন আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি চায়। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাকশাল থেকে দেশের জনগনকে মুক্ত করতে সকল রাজনৈতিক শক্তিকে একমঞ্চে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে একটি মহল সক্রিয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতির দুঃসময়ে জামায়াত ইসলামী রাজপথে নামতে প্রস্তুত। কিন্তু অনৈক্য ও বিভেদ তৈরি করতেও একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। শহীদ জিয়া সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস যুক্ত করেছেন। শহীদ জিয়া সকল দলমতের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশে গনতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারাই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিভ্রান্তিকর বতৃতা বিবৃতি দিতে পারে। শহীদ জিয়া বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রবর্তন না করলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, লেবার পার্টির জন্ম হতো না।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর ইরানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, জনতার মেয়র জনাব তাবিথ আউয়াল, গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মোঃ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান চৌধুরী মুকুল, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, ছাত্র মিশন সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও সহ সভাপতি এনামুল হক প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন