গত ৭ মে পূর্ব লন্ডনের মাইক্রেবিজনেস হলে অনুষ্ঠিত ‘বাউলশিল্পী পাগল হাসান শোকসভায় বক্তারা বলেন, হাসান বেঁচে থাকবেন লক্ষ ভক্ত-হৃদয়ে। দৈহিকভাবে তাঁর অনুপস্থিতি ঘটলেও আমাদের মাঝে তিনি বেঁচে আছেন। তাঁর গান যুগ যুগ তাকে বাঁচিয়ে রাখবে। সৃষ্টির মৃত্যু নেই।
গত ১৮ এপ্রিল দোয়ারাবাজার এলাকায় একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় বাউলশিল্পী পাগল হাসান দুই সঙ্গীসহ নিহত হন। ভোর ৬টায় ছাতকের সুরমা সেতুর নিকটে একটি মিনিবাসের সাথে তাদের বহন করা ফোরস্ট্রোকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলেই হাসানের মৃত্যু হয়। পরে বাকী দুজন মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা যায়। হাসান দুই পুত্র সন্তানের জনক। হাসানের বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর।
হাসানের পুরো নাম মতিউর রহমান হাসান। তিনি নিজেকে ‘পাগল হাসান’ নামে পরিচয় দিতেন। এই নামেই তিনি সঙ্গীত জগতে পরিচিতি লাভ করেন। ‘আসমানে যাইও না রে বন্ধু ধরতে পারবো না, পাতালে যাইও নারে বন্ধু ছুঁইতে পারবো না’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী ‘পাগল হাসান’। হাসানের বাড়ি ছাতক উপজেলার বিখ্যাত শিমুলতলা গ্রামে।
হাসানের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সংবাদ প্রচার হলে সিলেটসহ বাংলদেশ ও বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
যুক্তরাজ্যস্থ ছাতক-দোয়ার সুরমা যুব পরিষদ তাদের ঈদপুর্নমিলনী অনুষ্ঠান বাতিল করে হাসানের প্রয়াণে শোক সভার আয়োজন করে। পূর্ব লন্ডনের মাইক্রোবিজনেস সেন্টারে আয়োজিত এ শোক সভায় দোয়াসহ মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলানা হাফিজ ওয়াহিদ সিরাজী।
শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবু শহিদ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী হিমাংশু গোস্বামী, গৌরী চৌধুরী, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেন, কবি হামিদ মোহাম্মদ, বাউল শিল্পী সুফী আমির মোহাম্মদ, সাবেক কাউন্সিলার ফারুক আহমদ, সাবেক কাউন্সিলার রুহুল আমিন, ছাতক এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি রুহুল আমিন, ছাতক এডুকেশন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ড. আনসার আহমদ উল্লাহ, কমিউনিটি নেতা আবদুল আলী রউফ, রাজনীতিবিদ আলতাফুর রহমান মোজাহিদ, রাজনীতিবিদ এস এম সুজন মিয়া সাজিদ,সংস্কৃতিকর্মী রাজিব দাস, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, সাংবাদিক আবদুল বাছির।
সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি কামরুজ্জামার সাকলাইন, সাবেক সভাপতি, হেলাল মিয়া, হাবিব সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবুল লেইস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ জামাল, কামাল হোসেন, ফজলুল কাদের, সহ কোষাধ্যক্ষ: আবুল বশর, ওল্ডহাম বাংলাদেশ সমিতির সাধারন সম্পাদক সুহেল মিয়া, আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহম্মদ আলী, যুব নেতা চন্দন মিয়া, আবু তাহের আবদুল তোয়াহিদ কয়েস, সানোয়ার আলী, মুহিবুর রহমান, জামাল হোসেন, আবুল বসর, আবু তাহের পাবেল, মিজানুর রহমান, আনোয়ার কামাল দোলন, খালেদ আহমদ, চন্দন মিয়া, ডানিয়েল আহমদ, আতিকুর রহমান, শাহজাহান, মিসবাহু উজ জামান,কামরুজ্জামান সাকলাইন, মঞ্জু চৌধুরী, হেলাল মিয়া, নিজাম উদ্দিন ও এম এ সালমা, দিলবর আলী। প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন