জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশা চালকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কুলাউড়া শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের অর্ধ-শতাধিক রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার (৪ নভেম্বর) শহরের প্রধান সড়কে ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। এঘটনায় শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। তবে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের যৌথ ভূমিকায় প্রায় ৪ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। প্রশাসন সূত্র জানায়, আগামী রোববার উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
এঘটনায় সিএনজি অটো রিকশা শ্রমিক নওশাদ, বদরুল, জব্বার, ফয়সাল এবং ব্যাটারি চালিত রিকশা শ্রমিক মহরম ও লুৎফুর রহমান-সহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়। এর মধ্যে ব্যাটারি চালিত রিকশা শ্রমিক লুৎফুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে কুলাউড়ায় বুধবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা। ধর্মঘটের সমর্থনে বুধবার সকাল থেকে পৌর শহরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। শহরের স্টেশন রোড, চৌমুহনী, দক্ষিণ বাজার, মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয় অটোরিকশা চালকরা। তারা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করতে থাকে।
সকাল ১১ টার দিকে ব্যাটারি চালিত একটি রিকশা শহরে প্রবেশ করার সময় সিএনজি অটো রিকশা শ্রমিকদের সাথে ওই রিকশা শ্রমিকের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে রিকশা শ্রমিককে মারধর করলে সে ফিরে যায়। কিছুক্ষণ পর রিকশা শ্রমিকরা জড়ো হয়ে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের ধাওয়া করে। এরপর থেকে দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হামলা, পাল্টা হামলা, ভাঙচুর। চালকরাও রাস্তায় নেমে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
কুলাউড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম বলেন, আপাতত তাদেরকে শান্ত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী রোববার (৮ নভেম্বর) উপজেলা সভাকক্ষে উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে আছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন