জিবি নিউজঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী পহেলা ১ নভেম্বর রোববার খুলছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। এর আগে করোনাভাইরাসে কারণে ১৯ মার্চ বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. শফিউল আলম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের প্রবেশ সাময়িক বন্ধ করা হয়।
এদিকে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার থেকেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পর্যটকশুন্য। নেই হইহুল্লোর, নেই কোন শব্দ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এ উদ্যান দীর্ঘদিন ছিলো আশ্চর্য নীবর, নিস্তব্ধ।
দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান আগের পরিবেশে ফিরে গেছে। ফলে মনের আনন্দে বন্যপ্রাণী এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে উদ্যানের ভিতর সমতলে ও গাছ থেকে গাছের ডালে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দশনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্তের কথা আমি মন্ত্রণালয় থেকে শুনেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা পরপরই আমরা লাউয়াছড়ায় পর্যটকের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিই। শুধু লাউয়াছড়াই নয়, সিলেটের বিভাগের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যানেও একই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে। কয়েকদিন পরই পর্যটকরা এখনকার বন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জ সূত্র জানায়, তৎকালীন আসাম সরকার ১৯১৭ সালে পশ্চিম ভানুগাছের ১ হাজার ২৫০ হেক্টর বনভূমিকে প্রাথমিকভাবে সংরক্ষিত সম্পদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এরপর ১৯২৫ সালে অনুষ্ঠানিকভাবে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা এবং পরে ১৯৯৬ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জায়গা নিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। বনের চারপাশ ঘিরে চা বাগান, হাওর, সংরক্ষিত বন ও বনসংলগ্ন গ্রাম রয়েছে।
লাউয়াছড়ায় জাতীয় উদ্যানে রয়েছে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ২৪৬ প্রজাতির আবাসিক এবং পরিযায়ী পাখি। এছাড়াও রয়েছে কয়েক প্রজাতির স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণী। এগুলোর মধ্যে অন্যতম মহাবিপন্ন উল্লুক, মুখপোড়া হনুমান, লজ্জাবতী বানর, বনরুইসহ বিরল প্রজাতির বিপন্ন প্রাণী।
 
                            
                             
                                                                                                
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন