হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন মহান পুরোধা। তার কাঙ্খিত গণতন্ত্র আজো অধরা মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জীবনের অন্তিম মূহুর্ত পর্যন্ত তিনি বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতন্ত্রের বিকল্প নেই।
সোমবার (৪ ডিসম্বর) ৫ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, যেসকল মনীষীর মহৎ রাজনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ অঞ্চলে গণতন্ত্রের শুভ সূচনা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন সংগ্রাম করে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি, সুনাম ও সুখ্যাতি লাভ করেন। সকল লোভ, স্বার্থ ও ক্ষমতার মোহের উর্ধে উঠে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখাই ছিল তাঁর সারা জীবনের সাধনা।
নেতৃদ্বয় বলেন, অখন্ড উপমহাদেশে সাম্রাজ্যবাদী ব্রটিশ শাসনামলে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্বদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কেন্দ্রীয় বৃটিশ সরকারের সাথে আপোসহীন ও সাহসী ভুমিকা পালন করেন। বয়সে নবীন হলেও অসাধারণ বাগ্নীতা এবং সরকারী নীতির বিরুদ্ধে অনলবর্ষী ও ক্ষুরধার বক্তব্য দ্বারা অল্পদিনের মধ্যেই তিনি পরিষদের ভিতর ও বাহিরে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। রাজনৈতিক জীবন শুরুর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি একজন আপসহীন, অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
তারা আরো বলেন, এ সময় তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে অকাট্য যুক্তিদ্বারা বোঝাতে সক্ষম হন যে রাজনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মুসলমানদের সহযোগিতা পেতে হলে সর্বক্ষেত্রে জনসংখ্যার অনুপাতে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকা অপরিহার্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক বেঙ্গল ন্যাশন্যাল প্যাক্টের ভিত্তিতে শতকরা ৫৬টি চাকুরী অবিভক্ত বাংলার মুসলমানদের প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। এটা শুধু শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ফলেই সম্ভব হয়েছিল।
নেতৃদ্বয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে এ কথা মানতে তিনি কোনও সময়ই রাজী ছিলেন না। তাইতো তিনি ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হয়ে কোটি কোটি গণতন্ত্রী মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন