শ্রীমঙ্গল বিশেষ প্রতিনিধি ||
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে অবৈধভাবে এলাকার সরকারী রাস্তা মালিকানার দাবী তুলে পাকা খুঁটি স্থাপন করে জোর দখল করার অভিযোগ ওঠেছে মোশাহিদ মিয়া নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। মোশাহিদ একই গ্রামের লন্ডনি বাসার কেয়ারটেকারের কাজ করেন।
এদিকে অবৈধভাবে সরকারি রাস্তা দখলের বিষয়ে গত ৮ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় বাসিন্দা রুমানা আক্তার শিফা।
গত ১০ নভেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুমানা আক্তার শিফা এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে শিফা বলেন, ‘তিন থেকে চারজন পরধন লোভী ব্যাক্তি অবৈধভাবে সরকারী রাস্তা মালিকানা দাবী করে জোর দখল করার পায়তারা করে আসছে। বিগত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে লোকজনের চলাচলের রাস্তা দখল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এমন কি গত ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর আমার মায়ের মৃত্যুর পর রাস্তা দিয়ে মায়ের লাশ বাড়ীতে ঢুকাতে পারিনি। তাছাড়া গত ৮ নভেম্বর সকাল অনুমানিক ৭ টার দিকে মোশাহিদ তার সহযোগী ৪ থেকে ৫ জন লোক জনতাবদ্ধ হয়ে আমাদের ইসুবপুর নোয়াগাঁও কবরস্থানের পার্শ্বের রাস্তায় জোর দখল করার জন্য রাস্তায় পাকা খুঁটি স্থাপন করছে। এসময় এলাকার লোকজন নিয়ে বাঁধা দিলে মোশাহিদ ও তার সহযোগী মিলে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণে হত্যা করার হুমকি দমকি দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোশাহিদ জোরপূর্বক রাস্তা দখলে যেকোনো সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং মোশাহিদের সহযোগীর আচরণে আমারা গ্রামের বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সানজানা আক্তার সানজু, মো. সাহিদ মিয়া, সাজিদ মিয়া জন্টু দেব প্রমূখ।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার এসআই নাসির উদ্দিন আহমেদ জিবি নিউজকে জানান, ‘পাকার খুঁটি মোশাহিদ তার সীমানায় স্থাপন করছে, রাস্তায় নয়। কিন্তু অপরপক্ষ বলছে সে সরকারী রাস্তায় খুঁটি বসাইছে। আমরা গিয়ে আপাতত কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসছি। বলেছি, সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে যে যার জায়গা যতটুকু পায় ততটুকু সে নেবে। যার জায়গায় সেই তো ভোগদখল করে খাবে কিন্তু মেপে সঠিক জায়গা নির্ধারণ করে সে নেবে। উভয় পক্ষ সার্ভেয়ার এনে মেপে যে যার-জায়গা জায়গা সে নির্ধারণ করুক।’
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদার বলেন, ‘আমরা কয়েকদিন আগে সেখানে রাস্তা মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে আসছি। এখন খবর পেয়েছি তারা না-কি আবার সেখানে পাকার পিলার স্থাপন করছে। আমরা সেখানে আবার যাব, তাদের সামনে রাস্তা মেপে সরকারি সীমানার মধ্যে পিলার থাকলে সেটি তুলে ফেলে দেব।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন