বাংলাদেশের ক্রিকেটের একসময়ের ‘লিটল মাস্টার’ তিনি। বিপিএলে স্পট ফিক্সিং করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞায় আছেন তিনি। ওই একটি ঘটনা বলতে গেলে তার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। তবুও জাতীয় দলে ফেরার ক্ষীণ স্বপ্ন নিয়ে থাকা অ্যাশ এখন নিয়মিতই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। এমনকী বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে ‘খ্যাপ’ খেলেন তিনি! ক্রিকেটের মাঝে থাকার সুফল হিসেবে আশরাফুলের এবারের জাতীয় লিগ শুরু হলো সেঞ্চুরি দিয়ে!
আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম দিনে ৫ উইকেটে ২৫৪ রান তুলেছে ঢাকা মহানগর। মেহেদী হাসান রানার বলে উইকেটকিপার সাব্বিরের তালুবন্দী হওয়ার আগে ১০৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছন আশরাফুল। মেহরাব হোসেন জুনিয়রের সঙ্গে তার জুটি ১৭৪ রানের। অ্যাশ আউট হলেও দিনশেষে ৬৫ রানে অপরাজিত মেহরাব।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর জাতীয় লিগে ভালো করতে পারেননি বলে সর্বশেষ বিসিএলে সুযোগ মেলেনি আশরাফুলের। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ফিরেছিলেন একদিনের ম্যাচে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে টানা সাত ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর অষ্টম ম্যাচে পেয়েছিলেন ফিফটি।
প্রিমিয়ার লিগে ১০ ম্যাচে ২ ফিফটিতে করেছিলেন ২৪০ রান।
ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে যেকোনো ক্রিকেটে আশরাফুল সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৩ সালের মার্চে, গল টেস্টে। আর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সর্বশেষ সেঞ্চুরি ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। বগুড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চলের হয়ে করেছিলেন ১৩৩ রান। জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন ধরে রাখতে হলে ৩৩ বছর বয়সী আশরাফুলকে এই পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই হবে।