ডাঃ নাসির উদ্দিন,পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নে ২৪ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষই জেলা কিংবা উপজেলা শহরে যাওয়ার জন্য ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তবে বিগত ৫/৭ বছর ধরে রাস্তাটি ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থায় থাকলেও তা মেরামত কিংবা যাতায়াত উপযোগী করতে নেওয়া হয়নি কার্যকর কোন উদ্যোগ। ফলে মারাত্মক ভোগান্তিতে রয়েছে ওই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।
পিরোজপুর-টগড়া সড়কের চালনা ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ ও লাহুড়ী বাজার হয়ে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি মিশেছে পিরোজপুর জেলা শহরের কৃষ্ণচূড়া মোড়ে। পাড়েরহাট ইউনিয়নের নলবুনিয়া, বাটাজোড়, লক্ষীদিয়া, বাড়ৈখালী, চড় বাড়ৈখালী, গাজীপুর, দড়িচর গাজীপুর, লাহুরী এবং চড় লাহুরী গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করে।
তবে চালনা ব্রিজ থেকে লাহুড়ী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটির অধিকাংশই ভেঙ্গে গেছে। গত প্রায় ৭ বছর ধরে তাও ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে। রাস্তার এ অংশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে শুকনো মৌসুমে ধুলোয় পুরো শরীর ঢেকে যায় এবং বর্ষা মৌসুমে কাঁদার মধ্য দিয়ে চলতে হয়। অন্যদিকে, রাস্তাটির প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজ ৪ বছর পূর্বে শুরু হলেও, ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন না করেই ৩ বছর আগে তা ফেলে চলে গেছে। ফলে এ অংশেও মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এছাড়া লাহুড়ী থেকে ঝনঝনিয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ইটের রাস্তা প্রায় ৩০ বছর পূর্বে নির্মান করা হয়েছিল। বর্তমানে এ অংশটি পুরোপুরি ব্যবহার অনুপযোগী। এছাড়া ঝনঝনিয়া থেকে বলেশ^র ব্রীজ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার কার্পেটিং অংশের অবস্থাও খুবই খারাপ।
রাস্তা ব্যবহারকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি খুবই বেহাল দশায় থাকলেও এটি মেরামতে নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। ফলে প্রতিদিনই যাত্রীদের মারাত্মক ভোগান্তি স্বীকার করে ঝুকিপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া ভঙ্গুর রাস্তায় চলতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। এ থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
পাড়েরহাট ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান তালুকদার শাওন রাস্তাটির খারাপ অবস্থার কথা স্বীকার করেন দ্রুত তা মেরামতের দাবি জানান। তিনি বলেন, রাস্তাটির খারাপ অবস্থার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও বিভিন্নভাবে ইউনিয়নবাসীর কাছে বিভিন্নভাবে জবাবদিহি করতে হয়।
এলজিইডির ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন জানান, টেন্ডার হওয়া অংশের কাজ না করে ঠিকাদার চলে যাওয়ায় কাজটি বাতিলের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়া ইটের রাস্তাটির ইস্টিমেট তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্্ন হওয়ার পরই সেখানে কার্পেটিং রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।#

পিরোজপুরে সড়কের বেহাল দশা , ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন