বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপকে জাতির জন্য ‘চরম অবমাননাকর, লজ্জা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার ও উদ্বেগের বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে একটি ‘স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠন করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা সরকারের দায়িত্ব।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞাকে বাংলাদেশের জন্য নজিরবিহীন ও চরম অবমাননাকর। “বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটে না” সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এই ধরনের বক্তব্য দায় এড়ানোর কৌশল গ্রহনযোগ্য নয়। এভাবে বক্তব্য দিয়ে সরকার ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা জাতি প্রত্যাশা করে।
ন্যাপ মহাসচিব আরো বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, পরাজয় তাদের অনিবার্য। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের বরেণ্য সব ব্যক্তিদের রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে। তাই সূর্য সন্তানদের জাতি সবসময়ই স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকতেন সমাজের সর্বস্তরের বুদ্ধিজীবীরা। তারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক-ভাবে বাঙালিদের বাঙালি জাতীয়তা-বোধে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনই পরবর্তীতে রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। এজন্য শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, জাতীয় নারী আন্দোলন সমন্বয়কারী মিতা রহমান, জাতীয় জনতা ফোরাম আহ্বায়ক মুহম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন