স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের ভাঁদগাও এলাকায় রাস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতি পক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত একজন সিলেট এমজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। ঘটনার পর প্রতিপক্ষ সুকৌশলে আগেই থানায় মামলা করেন। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের পুলিশ মামলা না নিলে তারা আদালতে মামলা দায়েরে ফরিয়াদী হন।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভাঁদগাও এলাকায় ছুফান মিয়া ও মৃত ফজলুর রহমান গনি মিয়ার পুত্র তৌহিদুর রহমান দিলুর মধ্যে রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ১৪ মে ২০২১ইং শুক্রবার (ঈদের দিন) বিকালে তৌহিদুর রহমান দিলুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
ছুফান মিয়ার বাতিজা ও সামছুল মিয়ার পুত্র শামীম আহমদ তাহার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে তাহার মামার বাড়িতে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুয়ায়ী তৌহিদুর রহমান দিলুর নেতৃত্বে তার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। শামীমের চিৎকার শুনে কয়েক জন এগিয়ে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের এলোপাথারি হামলা চালায়। ওই হামলায় আব্দুর নুর এর পুত্র ছুফান মিয়া, মদ্দুস আহমদের পুত্র কাওসার আহমদ আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আশংখা জনক অবস্থায় ছুফান মিয়াকে সিলেট এমজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে শামীম আহমদ জানান ছুফান মিয়া সহ তারা চিকিৎসাধীন থাকায় প্রতিপক্ষ তৌহিদুর রহমান দিলু সুকৌশলে ১৫ মে রাতে আহত ৩ জন সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় ১৬ মে রাতে মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে তারা পুলিশি ভয়ে আত্মগোপন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে কিছুটা সুস্থ হয়ে ১৭ মে সকালে থানায় মামলা করতে গিয়ে জানেন প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে থানা মামলা না নেয়ায় মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে সিআর ২১৬/২০২১ অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২৪ মে আদালতে শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জকে ২৫ মে তারিখের মধ্যে মামলা গ্রহন করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দ্দেশ দেন। এ মামলার আসামীরা হলেন মৃত ফজলুর রহমান গনির পুত্র মতিউর রহমান (৩০), রুমেল (২৫), তৌহিদুর রহমান দিলু (২৯) এবং হেলাল মিয়া (২১), পিতা ঃ মৃত সাজ্জাদ মিয়া, জুবায়ের (২০), পিতা-মৃত-সাজ্জাদ মিয়া, আজাদ মিয়া (৫৫), পিতা-মৃত আজিল মিয়া, রাহুল মিয়া (২১), পিতা-বজলু মিয়া।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় ওসি (তদন্ত) গোলাম মুর্তুজা জানান, ভাঁদগাও এর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এক পক্ষ থানায় মামলা করেছেন ও অপরপক্ষ আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলার তদন্ত কাজ চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন