নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসান আলী উস্তার ও তার ভাতিজা শাহিনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। গত সোমবার হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আমল আদালত-৫ এ জামিন চাইলে এতে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন। উক্ত মামলায় অপর আসামী ইউপি সদস্য উস্তার মিয়ার ভাই মোশাহিদ মিয়া লন্ডনে পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ
বাজারস্থ বকুল অভিজাত মিষ্টি বিপনীর সত্ত্বাধিকারী ব্যাবসায়ী বকুল মিয়ার ভাই রুমন মিয়ার কাছ থেকে জায়গা বিক্রির কথা বলে উল্লেখিত আসামীরা ৭লাখ নেয়। কিন্ত জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে নানা অজুহাতে টাল বাহানা করতে থাকে। পরে খুঁজ নিয়ে জানাযায়, যে জায়গা বিক্রয় করার কথা বলে টাকা নিয়েছিল সেই জায়গাহ অন্যত্র বিক্রয় করেছে তারা।
গত ২০১৪ ইংরেজী সনে টাকা নিলেও আজওবদি
৭ বছর ধরে জায়গা বুঝিয়ে দিচ্ছে না বা টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। টাকা চাইলে উল্টো ব্যবসায়ী রুমন তার পরিবারের লোকজনকে নানান হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন ও মেম্বার খালেদ আহমদ জজ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে শালিষ বিচারের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেয়ার কথা রায় হলেও আসামী পক্ষ এতে কোন কর্ণপাত করেনি। পরে বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ী রুমান মিয়া আইনের আশ্রয় নেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৬ মার্চ আউশকান্দি মাদ্রাসা পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে মেম্বার উস্তার ও তার ভাতিজা শাহিনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আউশকান্দি মৌজার ঈদগাহর জায়গা দখল, সরকারী রাস্তা দখল, এমনকি নবীগঞ্জ টু শেরপুর রোডস্থ কুর্শী ডেবনার ব্রীজ সংলগ্ন এরাবরাক নদীর সরকারি খাস জমি দখল করে দোকান ভিটা নির্মাণ করা সহ তার ওয়ার্ডের শতাধীক লোকজন তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেন। ইউপি সদস্য হওয়ার কারনে তার বিরোদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় সে ও তার লোকজন দিনদিন দখলদারিসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ইউপি মেম্বার উস্তার মিয়ার বিরোদ্ধে অভিযোগের কোন শেষ নেই। সে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দক্ষিন দৌলতপুর গ্রামে বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সংযোগ দিতে ব্যর্থ হলেও এখন পর্যন্ত কোন টাকা ফেরত দেয়নি। এলাকাবাসী নানা অনিয়মের অভিযোগে ঊল্লেখিত অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন