সিলেট-৪ আসনের ৩ উপজেলাকে ‘স্কুল ফিডিং’র আওতাভূক্তির দাবি হাকিম চৌধুরীর

gbn

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

সিলেট-৪ সংসদীয় আসনের জনবহুল তিনটি উপজেলা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম চৌধুরী। 

তিনি বলেছেন, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা দুর্গম এলাকা। এখানকার শিশুরা শিক্ষা ও পুষ্টি উভয় দিক থেকে পিছিয়ে আছে। তাই স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই তিন উপজেলার শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব।

 

 


বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করার পরিকল্পনা করছে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হবে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা এবং তাদের শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। 


আব্দুল হাকিম চৌধুরীর দাবি, সিলেট-৪ সংসদীয় আসনের তিন উপজেলায় এই কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে এখানকার শিশুরা উপকৃত হবে। এটি তাদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি করবে এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি করবে। এছাড়াও, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শিশুদের মধ্যে পুষ্টির অভাব দূর করতে সাহায্য করবে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 


তিনি গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। তিনি মনে করেন, উল্লেখিত উপজেলাগুলোতে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে এলাকার শিশুরা শিক্ষা ও পুষ্টি উভয় দিক থেকে লাভবান হবে। তাই এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক হলে, তিন উপজেলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।

 


আব্দুল হাকিম চৌধুরী আরো বলেন, তিন উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র গোয়াইনঘাট উপজেলা বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার সমান এবং স্বাধীনতার পর থেকে সিলেট-৪ আসনভূক্ত তিন উপজেলা শিক্ষা চিকিৎসায় পিছিয়ে রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনুন্নত। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে একমাত্র কর্মসংস্থানের মাধ্যম পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় তিন উপজেলার বসবাসরত মানুষের মধ্যে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। বিশেষ করে মধ্যম আয়ের মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো বড় অসহায়। তারা লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারছে না আবার সইতেও পারছে না। নীরবে অশ্রু সংবরণ করছে। সব দিক বিবেচনা করে এই তিন উপজেলার শিক্ষার্থীরা স্কুল ফিডিং কর্মসূচির অন্তর্ভুক্তির উপযোগী। এইসব দিক বিবেচনা করে তিন উপজেলার বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত এরশেদ জানান, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়েছি। দেশের ৬২ জেলার ১৫০টি উপজেলায় চালু হতে যাচ্ছে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি। সিলেটের মধ্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় এসেছে। কোন উপজেলাকে অন্তর্ভুক্তি করার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। সরকার যেভাবে তালিকা প্রেরণ করে সেটাই আমরা বাস্তবায়ন করি। তবে এই তিন উপজেলা স্কুল ফিডিং কর্মসূচির জন্য উপযোগী। যদি পরবর্তীতে সরকার নতুন করে কোন উপজেলার নাম নেওয়ার জন্য আমাদের কাছে তালিকা চায় তখন আমি এই তিন উপজেলাকে প্রাধান্য দিব। তিনি আরো বলেন, পরবর্তী ধাপে হয়তো এই উপজেলাগুলো স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় আসতে পারে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন