জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
সিলেটবাসীর জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির সংবাদ। প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি সকাল থেকে বাড়তে বাড়তে বিকেলের দিকে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। যদিও নদী ভাঙন বা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে নদীর পানি প্রবেশের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।
সিলেটের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালের দিকে বিভিন্ন পয়েন্টে এ নদীর পানি বাড়তির দিকে থাকলেও বিকেলের দিকে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে।
কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সকাল ৩ সেন্টিমিটার বেড় পৌঁছায় ৯৪ সেন্টিমিটার উপরে। ১২টার দিকে বাড়ে আরও ৪ সেন্টিমিটার। পৌঁছায় ৯৮ সেন্টিমিটারে। এরপর থেকে কিছুটা স্থিতিশীলতার দিকে যায়। বিকেল ৩টায় বাড়ে ১ সেন্টিমিটার। সন্ধ্যা ৬টায় আর বাড়েনি। ছিল বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপরে।
সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি কিছুটা কমতির দিকে। সকাল ৬টায় ছিল বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচে। আর সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ২৭ সেন্টিমিটার নিচে।
আমলশীদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি এই কমছে তো এই বাড়ছে। যেমন, সকাল ৬টায় পানি ছিল বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯৫ মিটার উপরে। সকাল ৯টায় বাড়ে ১ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় বাড়েনি, বিকেল ৩টায় ১ সেন্টিমিটার কমেছে। সন্ধ্যা ৬টায় আরেক সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় পানি কিছুটা ২ সেন্টিমিটার বাড়ে। ১২টায় বাড়ে আরও ১ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় বাড়ে আরও এক সেন্টিমিটার। সন্ধ্যায় আরও এক সেন্টিমিটার বেড়ে কুশিয়ারা প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা এই বাড়ছেতো এই কমছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি ১ সেন্টিমিটার কমে প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
এছাড়া সিলেটের অন্যান্য নদী যেমন লুবা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাইয়ের পানি বিভিন্ন পয়েন্টে কখনো বাড়ছে কখনো কমছে। তবে এ নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন