সিলেটের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে পুশইনের ঘটনা বাড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। গত এক মাসে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার ৩০২ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত সীমান্ত দিয়ে চার শতাধিক ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী। যাদের মধ্যে অধিকাংশ সিলেটের বাহিরে দেশের অন্যান্য বিভাগের বাসিন্দা। আছে অজ্ঞাত পরিচয়ের মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হঠাৎ করেই সীমান্ত অতিক্রম করে এভাবে অজানা লোকজন প্রবেশ করায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, এদের মাঝে অপরাধী বা চোরাকারবারিও থাকতে পারে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে।
তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বলছে, পুশইন রোধে বাড়ানো হয়েছে টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের সচেতন করতে ও নিরাপত্তার আশ্বাস দিতে সীমান্ত এলাকায় জোরদার করা হয়েছে জনসংযোগ কার্যক্রম।
জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার, পিএসসি জানান, "আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সীমান্তে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একইসাথে তাদের শারীরিক পরীক্ষা ও পরিচয় শনাক্তকরণের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।"
তবে স্থানীয়দের দাবি—সীমান্তে নজরদারির পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়েও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তোলা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন