বরাবরই নানা রকম মুখরোচক কাণ্ড ঘটিয়ে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সুখ-দুঃখের কথা বলে আলোচনায় আসেন গায়িকা ও ইনফ্লুয়েন্সার বর্ষা চৌধুরী। কিন্তু এবার মৃত্যুর গুঞ্জনে খবরের শিরোনাম হলেন তিনি। আজ বুধবার দুপুর থেকেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে বর্ষা চৌধুরী আর নেই।
হার্ট অ্যাটাক করে বর্ষা চৌধুরী মারা গেছেন দাবি করে পোস্ট দেন অনেক ইনফ্লুয়েন্সার। তাদের মধ্যে রয়েছেন
নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বারিশা হকও। নিজে নিশ্চিত না হয়ে বর্ষার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দেন সোশ্যালে। তখনই অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করে বলছিলেন, ‘এটাও মনে হয় একটা নাটকীয় ঘটনা! কারণ এদের কোনো বিশ্বাস নেই!’
এর কিছুক্ষণ পরই আরেকটি পোস্ট করে সেখানে পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে বারিশা জানান, বর্ষা চৌধুরী মারা যাননি।
এরপর বর্ষাকে নিয়ে পোস্ট দেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিও। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রাখাল আর বাঘের গল্পের মতো না হোক কোনোদিন। মৃত্যু নিয়ে এমন মজা আর নিয়েন না বা কাউকে নেওয়ার সুযোগও দিয়েন না ডিয়ার বর্ষা চৌধুরী। যেদিন সত্যি আপনি চলে যাবেন সেদিন আপনার জন্য শোক প্রকাশের জায়গাটা রাখেন অন্তত। জীবন সুন্দর হোক।’
বর্ষা চৌধুরীর অনেক পরিচয়- গায়িকা, উদ্যোক্তা, অভিনেত্রী ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সুখ-দুঃখের কথা বলে প্রায়ই আলোচনায় আসেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্বামী ব্যান্ডশিল্পী রুমি রহমানের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েন বর্ষা চৌধুরী। এর মধ্যে এক সন্তানের বয়স তখন সবে দেড় মাস। অন্যদিকে বর্ষার সঙ্গে রুমিরও দ্বিতীয় সংসার এটি। দ্বিতীয় স্বামীকে হারানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই রুমিকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট ও ভিডিও পোস্ট করে আসছিলেন বর্ষা। কিন্তু হঠাৎই সবাইকে চমকে দিয়ে চলতি বছরের ১৬ মার্চ তৃতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন গায়িকা, অভিনেত্রী ও উদ্যোক্তা বর্ষা। পাত্রও ঢাকাই সিনেমার পরিচিত মুখ রাসেল মিয়া।
বিয়ের পর কয়েক মাস ভালো গেলেও সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গত মাসে ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা করেন বর্ষা। পরে ফেসবুকে একটি লাইভে আত্মপক্ষ সমর্থন করে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
তারপর আরও একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে আলোচনার জন্ম দেন বর্ষা চৌধুরী।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন