এবার সিনেমায় শতভাগ শুল্ক বসাচ্ছেন ট্রাম্প, টালমাটাল হলিউড

gbn

একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ঘোষণা করেছেন, তার দেশে তৈরি বিদেশি সিনেমার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ১০০% শুল্ক আরোপ করা হবে। গেল রোববার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে তিনি এই তথ্য জানান।

ট্রাম্প বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির অফিসকে নির্দেশ দিয়েছেন এই শুল্ক আরোপের জন্য।

 

তিনি লিখেন, ‘আমেরিকার সিনেমা শিল্প দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য দেশ আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এবং স্টুডিওগুলোকে তাদের দেশে টেনে নিতে নানা ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে। হলিউড এবং যুক্তরাষ্ট্রের আরও অনেক এলাকা ধ্বংসের মুখে। এটি অন্যান্য জাতির একটি সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা। তাই এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি শুধুমাত্র সিনেমা নয়, এটি হচ্ছে নিজের দেশ-জাতি ও রুচির প্রচার এবং বার্তা। তাই আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত দেশে তৈরি বিদেশি সিনেমার ওপর ১০০% শুল্ক আরোপ করার প্রক্রিয়া শুরু করতে।’

 

বছরের পর বছর ধরে নানা কর প্রণোদনার জন্য যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং স্পেনের মতো দেশগুলো থেকে হলিউডের অসংখ্য প্রযোজক সিনেমা তৈরি করেছেন। সেটি এখন ব্যাহত হতে চলেছে। সিনেমার বৈশ্বিক সম্পর্কেও এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রবিবার C-SPAN-এ ট্রাম্প বলেন, ‘এটি হচ্ছে অন্য জাতির দ্বারা আমাদের সিনেমা তৈরির ক্ষমতা চুরি করা। আমি গত এক সপ্তাহে বেশ ভালোভাবে গবেষণা করেছি এবং দেখেছি, আমরা এখন খুব কম সিনেমা তৈরি করছি। হলিউড ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এখানে এমন এক অদক্ষ গভর্নর আছেন যিনি এটি ঘটতে দিয়েছেন। তাই আমি শুধু অন্য দেশগুলোকেই দায়ী করছি না, আমাদের দায়ও অনেক। অন্যান্য দেশ আমাদের সিনেমা শিল্প চুরি করছে আর আমরা সেটা দেখছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু তাই নয়, আমাদের বিভিন্ন সরকার আসলে বড় অংকের অর্থের মাধ্যমে বিদেশি সিনেমাকে সমর্থন করেছে, বিস্তৃত করেছে। এটি আমাদের দেশের জন্য এক ধরনের হুমকি।’

 

এ বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর গ্যাভিন নিউজমের অফিসের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য বিভ্রান্তির জন্ম দেবে।’

এদিকে শীর্ষস্থানীয় বিনোদন নির্বাহীরা বলেছেন, এই শুল্ক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি টিভি ইন্ডাস্ট্রিকেও ধ্বংস করতে পারে। এক সূত্র বলেছেন, ‘ভ্যাঙ্কুভার আর শেষ, এটাই বলা যায়।’

বিশ্বব্যাপীও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। ‘মিশন: ইমপসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’, ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’- এর মতো কিছু বড় বাজেটের সিনেমা আছে যেগুলোর শুটিং হয়েছে বিশ্বজুড়ে। সেগুলোতে কী শুল্ক প্রযোজ্য হবে তা পরিষ্কার নয়।

 

মার্ভেল স্টুডিওস এবং লুকাসফিল্মও শুল্কের আওতায় আসতে পারে। কারণ তারা সম্প্রতি ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’ (২০২৬) ছবির শুটিং লন্ডনে শুরু করেছে এবং তাদের কিছু প্রকল্পও যুক্তরাজ্যে শুট হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

 

 

এখন দেখা যাক, ট্রাম্পের এই শুল্ক পরিকল্পনা চলচ্চিত্র শিল্পে কী বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং শিল্পের ভবিষ্যত কীভাবে প্রভাবিত হয়।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন