সম্মতি দেয়নি আ. লীগ সরকার, আটকে আছে বিজয় দিবসের ভাতা

gbn

বাংলা নববর্ষ পালনে যে রকম বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে, বিজয় দিবস পালনেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সে রকম একটি ভাতা চাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। এ জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি। এর পরও এ ভাতা চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

 

 

 

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেচ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিজয় দিবস বাঙালি জাতির একটি অনেক বড় বিজয়। এই দিবসে ভাতা দেওয়া হলে সরকারের সব  কর্মকর্তা-কর্মচারী আরো বর্ণিলভাবে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনে উৎসাহী হবেন।

এ জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঈদ উৎসব ভাতার মতো বিজয় দিবসে ভাতা চালুর দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা চাই এটা যেন একদম সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার বিজয় দিবসে ভাতা চালু করেনি। আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার তা চালু করবে।’

 

 

 

গোপালগঞ্জ জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোখলেসুর রহমান সরকার ২০১৭ সালের ৩১ মে এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠান। এরপর ওই চিঠির বিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

 

বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক্রমে বিজয় দিবস ভাতা প্রচলনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদসহ কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে বিজয় দিবসে ভাতা চালুর দাবি জানিয়ে আসছে।

 

 

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে এ ধরনের বিশেষ ভাতা চালুর মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে। আওয়ামী লীগ সরকার এই প্রস্তাবের পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভাতা চালু না করলেও খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিজয় দিবসে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা চালু করেছে। ২০২১ সালের এপ্রিলে এই ভাতা চালু করা হয়।

 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। ফাইলও আসেনি। সামনে এসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ফাইল এলে পর্যালোচনা করে দেখব। আগের সরকারের আমলের প্রস্তাব হলেও বিষয়টি ভালো হলে অবশ্যই এ নিয়ে আমরা আলোচনা করব। তবে এই বিজয় দিবসের আগে কিছু করা যাবে না। কারণ, আগামীকাল বিজয় দিবস উদযাপিত হবে।’

 

 

জানা যায়, এবারের বিজয় দিবসে ৯১ হাজার ৯৯৮ জন মুক্তিযোদ্ধার জন্য ভাতা বাবদ বরাদ্দ আছে ৪৫ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বরাদ্দকৃত এই অর্থ সম্মানি ভাতা ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাবে না।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন