জিবি নিউজ ।।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমদের পরিকল্পনায় “পুলিশ- জনতার যৌথ পাহরা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এই কার্যক্রম রাতভর তাদরকি করেন। এবং পাহারায় থাকা পুলিশ সদস্য ও সাধারণ জনগনকে পুলিশ সুপার উতসাহ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু নাসের মোহাম্মদ রিকাবদার,
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) পরিমল দেব, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) বদিউজ্জামান। সহ সহ এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার যুবক-প্রবীনরা।
সরজমিনে মধ্যরাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ-জনতা মিলে পাহারা দিচ্ছেন। এই উদ্যোগে নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
চাদনীঘাট ইউনিয়নের ছড়াপার একালার লিটন মিয়া পাহারারত অবস্থায় জানান, তারা নিয়মকরে পুলিশের সাথে পাহারা দেন। তবে পুলিশ ছাড়াও তারা পাহারা দেন। সমস্যা হলে মোবাইল ফোনে পুলিশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তারা এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলে তার তথ্য জানতে চান। সন্দেহ হলে টহল পুলিশকে খবর দিলে তারা সাথে আসেন।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, জনবল-যানবাহন সংকট দীর্ঘদিনের তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই সংকট দিনে দিনে কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশ পুলিশ।
তবে যে সমস্যাই থাকুক আমরা কিন্তু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জনগনের নিরাপত্তা দেব। তাই সাধারণ জনগনকে আমরা পুলিশের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকাতি প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। যদিও পুলিশের কাজ সবসময় সাধারণ জনগনকে সম্পৃক্ত করেই সম্পন্ন হয়। তবে যেহেতু ডাকাতিমুক্ত মৌলভীবাজার বাস্তবায়ন আমাদের উদ্দেশ্য এবং শীত মৌসুমে ডাকাতি বেশী হয়। তাই আমরা এই সময়টাকে একটু আলাদা ভাবে গুরুত্ব দিয়ে আগাম ব্যবস্থা নিয়েছি।
আমাদের প্রত্যাশা, এই উদ্যোগের সফলতা সাধারণ মানুষ পাবে এবং ডাকাতিমুক্ত মৌলভীবাজার হবে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন