মাহমুদ আব্বাস ও নেতানিয়াহুর সঙ্গে নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ

নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রবিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে সীমান্তে ‘সতর্কতা’ অনুশীলনের জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানান।

স্টারমারের ১০ ডাউনিং স্ট্রিট অফিসের একজন মুখপাত্র জানান, নেতানিয়াহুকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সব পক্ষের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলন রবিবার উত্তর ইসরায়েলে আরো ২০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। এতে সেখানে একজন আহত হয়েছে। গাজায় চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য আন্তঃসীমান্ত আক্রমণ শুরু করে গোষ্ঠীটি। তাদের ফিলিস্তিনি মিত্র হামাস গত বছর ইসরায়েলে আক্রমণ করার পর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়।

তার পর থেকেই হিজবুল্লাহ লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।

 

মুখপাত্র জানান, সংঘর্ষের বিষয়ে আলোচনা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ৭ অক্টোবরের হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির জন্য তার শোক পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘তারপর প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন ও বেসামরিক মানুষের কাছে মানবিক সাহায্যের পরিমাণ অবিলম্বে বৃদ্ধির স্পষ্ট ও জরুরি প্রয়োজন তুলে ধরেন।’

নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথোপকথনে স্টারমার আরো বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য আর্থিক উপায় নিশ্চিত করাসহ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি শর্তগুলো নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।

 

এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা সবচেয়ে ভয়াবহ গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার আশা করছেন। এ যুদ্ধ ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

এ ছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, স্টারমার আব্বাসকে বলেছেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার স্বীকৃতির বিষয়ে তার দীর্ঘদিনের নীতি পরিবর্তন হয়নি এবং এটি ফিলিস্তিনিদের অনস্বীকার্য অধিকার।’

ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুসারে, ৭ অক্টোবরের দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার এক হাজার ১৯৫ জন নিহত হয়েছে।

সেই সঙ্গে যোদ্ধারা ২৫১ জনকে জিম্মি করেছে। এতে মধ্যে ১১৬ জন এখনো গাজায় রয়েছে, যার মধ্যে ৪২ জন নিহত হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। অন্যদিকে হামাস শাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ১৫৩ জন নিহত হয়েছে। দুই পক্ষের নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন