২০ লাখ মুসলিমকে আটকে রাখা হয়েছে গোপন শিবিরে-একাধিক প্রমাণ জাতিসংঘের হাতে

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কোনও এক গোপন এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে অন্তত ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে। আর তার একাধিক প্রমাণ উঠে এসেছে জাতিসংঘের হাতে।
শুক্রবার জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস প্যানেল এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
‘রেসিয়াল ডিসক্রিমিনেশন’ বা বর্ণবিদ্বেষ সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ কমিটির সদস্য গে ম্যাকডুগাল বলেন, ‘চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের পশ্চিম অংশে এক গোপন ‘রাজনৈতিক শিবির’ তৈরি করে উইঘুর মুসলিমদের ওপর জোর করে কমিউনিস্ট নীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে চীন।’
এই সংক্রান্ত একাধিক বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ হাতে এসেছে বলেও উল্লেখ করেন জাতিসংঘের ওই সদস্য। তার হিসেব মতে, গোপনে আটকে রাখা হয়েছে অন্তত ২০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে।
তিনি আরও বলেন, ‘চরপমন্থার বিরুদ্ধে লড়াই আর সমাজকে সুরক্ষিত করার নামে চীনে আসলে যা হচ্ছে, তা রীতিমত চিন্তার বিষয়। কোনও এক নো-রাইট জোনে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদের।’
জেনেভায় এক সম্মেলনে এসে একথা বলেছেন ওই সদস্য। সম্মেলনে ৫০ জন চীনা প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও, তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি।
ম্যাকডুগাল উইঘুরদের সম্পর্কে আরও তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এমন রিপোর্টও রয়েছে যে মিশর বা তুরস্ক থেকে শতাধিক উইঘুর মুসলিম ছাত্র চীনে ফিরলে তাদের বন্দি করে ফেলে প্রশাসন। এমনকি অনেকের হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে বলেও তথ্য আছে।
চীনের প্রশাসন বরাবরই উইঘুর মুসলিমদের উপর কঠোর মনোভাব পোষণ করে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একাধিকবার সংখ্যালঘুদের উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। জিনজিয়াং প্রদেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি সেখানে বিশেষভাবে নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জিনজিয়াং অঞ্চলে মূলত চীনের মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষরা বসবাস করে। গত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে রোজা রাখার উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার।
চীনের দাবি, তাদের কাছে খবর রয়েছে যে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়ে চীনা মুসলিমদের আইএসে যোগ দেওয়ার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। আর সেইজন্যই আরও সতর্ক হয়েছে চীন সরকার। চীনে আইএস হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। তারপরই আরও কড়া হয়েছে বেইজিং।