টেকনাফ সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা

আগামী মাসে টেকনাফ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের উত্থাপিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, ওই সময়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বাড়তে পারে।

আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ওই প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, সামছুল হক দুদু, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ময়েজ উদ্দিন শরীফ, মো. ছানোয়ার হোসেন, চয়ন ইসলাম, মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) ও হাছিনা বারী চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোর হস্তে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরো সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উত্থাপিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে ২০২৪ নাগাদ টেকনাফ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং বিজিপি সদস্যদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বাড়তে পারে।

 

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ঝুঁকি সম্পর্কে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা/মগ) অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ; বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অরক্ষিত স্থল ও জলসীমান্তে নিরাপত্তা; রোহিঙ্গাদের রেশনের অবৈধ পাচার রোধ; মাদকের বিনিময়ে রেশন সরবরাহের ফলে মাদক ও চোরাচালানকৃত পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি পেতে পারে; সীমান্তে যুদ্ধাবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় সন্ত্রাসী দল/গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে; স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও মগ সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরাকান আর্মির সখ্য থাকায় তারা (আরাকান আর্মি) বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব অগ্নিকাণ্ডের পর দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা হয় না বলে উল্লেখ করেন। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তখন কিছু লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়, পরে সব গতানুগতিকভাবে চলতে থাকে। এজন্য সব সংস্থার একটি কমন প্ল্যাটফর্ম করে যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম কানুন না মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেসব প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন