আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। টানা একমাস সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিন দুনিয়াজুড়ে এই উৎসব পালন করা হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে কোথাও কোথাও একদিন আগেই ঈদ পালন করা হয়েছে। সকল ভেদাভেদ ভুলে এদিন ঈদু উল ফিতরের নামাজে এক কাতারে সামিল হন মুসলিমরা। এরপর পরস্পরে কোলাকুলি, কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ না পাওয়ার পরই চূড়ান্ত হয় ঈদের দিন। এ কারণে বুধবার সূর্য ডুবতেই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হয় সাক্ষাতে, মোবাইলে, এসএমএসে, ফেসবুকে, মেইলে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সারাদেশের মুসলমানরা ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেছেনে। পরে ঈদের কারণে বহুদিন পর প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে গ্রামে থাকা পরিজনদের নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন।
নতুন পোশাক পরে ঈদের পুরো দিনই চলছে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি। বেড়াতে যাচ্ছেন একে অপরের বাড়ি, করাচ্ছেন মিষ্টিমুখ। ছোটরা নতুন পোশাক পরে বড়দের কাছ থেকে সালামি আদায়ে তৎপর রয়েছে সারাদিন।
ঈদের দিনে সারা দেশে বাড়ি বাড়ি সাধ্যমতো উপাদেয় খাবার রান্না করা হয়েছে। বাড়ির ছোট সদস্যদেরই আনন্দ-উদ্দীপনা বেশি। নতুন পোশাকে সেজেগুজে তারা বেড়াতে যাচ্ছে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি।
এদিকে, ঈদের দিনটি যেমন আনন্দের, তেমনি প্রার্থনারও। পুরুষেরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল-অজু করে দীর্ঘ এক মাস পর দিনের শুরুতে মুখে খাবার তোলেন। এরপর অংশ নেন ঈদের জামাতে। নামাজ শেষে বুকে বুক মেলান পাশের জনের সঙ্গে। তারপর অনেকেই যান কবরস্থানে, চিরতরে ছেড়ে যাওয়া প্রিয়জনের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন