আজ বিশ্ব গ্লকোমা দিবস

gbn

মানুষের চোখের অন্ধত্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে গ্লকোমা। তবে গ্লকোমা কোনো একটি মাত্র অসুখ নয়। এটি আসলে চোখের অনেক সমস্যার একটি সমষ্টি। যার ফলে চোখের মধ্যে থাকা এবং দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ মুহূর্তে দেশে গ্লকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৫০ হাজার। গ্লকোমা সাধারণত দুই চোখে একসঙ্গে হয়।

 

উপসর্গ 
রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন উপসর্গ না থাকায় রোগী বুঝতে পারেন না যে তিনি ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পরে রোগীরা বুঝতে পারেন।

এই রোগের প্রথম উপসর্গটি হলো পার্শ্ববর্তী দৃষ্টি প্রায় হারিয়ে ফেলা। এ ছাড়া— 

 

✍ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া।
✍ চোখে ঝাপসা দেখা বা আলোর চারপাশে রংধনুর মতো দেখা। 
✍ ঘন ঘন মাথা ব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।

 
✍ দৃষ্টিশক্তি কমে আসা বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যপ্তি কমে আসা।
✍ কম আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া। 
✍ চোখে লাল ভাব।
 ✍ বমি বমি ভাব এবং বমি করা। 

 

কারণ
এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও চোখের উচ্চচাপ এই রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।

তবে চোখের স্বাভাবিক চাপেও কিন্তু এই রোগ হতে পারে। পরিবারের অন্য কোনো নিকট আত্মীয় যেমন মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, চাচা, মামা, খালা বা ফুপুর এই রোগ থাকলে, চল্লিশের বেশি বয়স হলে কিংবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, স্টেরয়েড নামক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে, চোখে ছানি অপারেশন না করলে বা করতে দেরি হলে অথবা জন্মগত চোখে ত্রুটি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

 

চিকিৎসা
✍ চোখে ড্রপ ব্যবহার করা।
✍ মুখে ওষুধ সেবন করা।
✍ লেজার থেরাপি।
✍ সার্জারি।

 প্রতিরোধ
✍ নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করুন।
✍ আপনার পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি এবং যাঁদের গ্লকোমার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাঁদের প্রতি এক থেকে দুই বছর অন্তর চক্ষু বিশেষজ্ঞের দ্বারা চোখ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। 
✍ জিংক, কপার, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন এ, ই, সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন : শাক-সবজি।
✍ কফি পানের পরিমাণ কমাতে হবে।
✍ একবারই বেশি করে পানি খাওয়া যাবে না বরং অল্প পরিমাণ পানি বারবার খেতে হবে।
✍ শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। 
✍ চোখের প্রেসার বেশি থাকলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
মনে রাখবেন, গ্লকোমার কোনো প্রতিকার নেই, প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। 

পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি 
কনসালট্যান্ট (চক্ষু) 
দীন মো. আই হসপিটাল, সোবহানবাগ, ঢাকা।

জিবিডেস্ক //

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন