হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধিঃযথাযথ মর্যাদার সাথে ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” পালিত হয়েছে। দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষ্যে কর্মসূচীর আরম্ভ হয়।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবি সকলের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। খবর বাপসনিউজ।ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং দূতাবাসের সামরিক এটাশে কমোডর আফজালুল হক। এছাড়াও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ-এ বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেয়ার জন্য জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সেই সাথে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, সকল বুদ্ধিজীবী, ভাষা শহিদ, দুই লাখ মা-বোন এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ কালরাতে নির্মম হত্যাকান্ডে শহিদ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যদের - যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতার ইতিহাস রচিত হয়েছিল। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে সকল দেশ সমর্থন দিয়েছিল রাষ্ট্রদূত তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে ব্রাজিল সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রদূত বলেন বিশ্বে যে কয়েকটি ঘটনা পৃথিবীতে গণতন্ত্রকামী মানুষের মুক্তির পথ সুগম করেছিল, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তাঁর অন্যতম। ঐতিহাসিক এই ভাষণকে ইউনেস্কো World´s Documentary Heritage -এর Memory of the world International Register -এ অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এই ভাষণকে “বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অর্জন উল্লেখ করে বলেন যে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি আরও উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। রাষ্ট্রদূত বলেন সবই আজ সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে যাবার জন্য। তিনি বর্তমান প্রজন্মকে দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জয় বাংলার স্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বুদ্ধিজীবি এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আয়োজন সমাপ্ত হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন