-মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকার ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করেছে তাৎক্ষণিক এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই ঘটনায় হাজী সেলিমের চাঁন সরদার দাদার বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালায় র্যাব। সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, মদ, ইবাবাসহ মানুষকে নির্যাতন করার উপকরণ ও মানুষের শরীরের হার উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হয়েছে শক্তিশালী বেতার সরঞ্জামাদি, বিপুল পরিমাণ ওয়্যারলেস সেট ও কমিউনিকেশন স্টেশন। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-র্যাব জানিয়েছে এর মাধ্যমে পুরান ঢাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিম। এ ঘটনায় হাজী সেলিমের সা¤্রাজ্যের পতন শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ধারা ভাষ্যকাররা। গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় ইরফান সেলিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর র্যাবের একটি দল হাজী সেলিমের ছেলেকে গ্রেফতার করতে তার বাসা চাঁন সরদার দাদার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটর সাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তাঁর স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন