সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সম্পাদক পদ পেয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কৃতি সন্তান ইফতেখার আহমেদ রানা । বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল প্যাডে তাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়। এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সক্রিয় সৈনিক হিসাবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র রাজনীতি করেছেন।
ইফতেখার আহমেদ রানা হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ৬ নং সদর ইউনিয়নের ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। বর্তমানে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে অধ্যায়নরত। ২০১৮ সালে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিধান কুমার সাহার অনুসারী। কলেজ জীবন থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে যাতায়াতের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতির মনোভাব গড়ে উঠে। তার বাবা একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ছিলেন, মা একজন চাকরিজীবী। মেজ ভাই বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন এবং বড় ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত।
ইফতেখার আহমেদ রানা জিবিনিউজকে জানান, "আমি দীর্ঘ ৯ বছর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাকি জীবন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবেই কাজ করে যেতে চাই। দেশের কল্যাণে কাজ করতে এবং আজকের শিক্ষা দেয়ার আগামীতে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।"
তিনি আরও জানান, "করোনা মহামারীতে যখন দেশ বিপর্যস্ত তখন মানুষকে আর্থিক ও মানসিকভাবে এমন কি করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সতর্কতামূলক প্রচারণার কাজে লিপ্ত ছিলাম। করোনা মহামারীতে "লাশ দাফন করুন আক্রান্ত রোগীদের' ভলেন্টিয়ার দায়িত্ব পালন করেছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে। এছাড়া চিরকৃতজ্ঞ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন । আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, দেশগড়ার প্রত্যয়ে বিশ্বশান্তির অগ্রদূত দেশরত্ন শেখ হাসিনা'র আদর্শিক ভ্যানগার্ড হিসেবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারি।"
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন