মোস্তফা কামাল মিলন।
বাংলাদেশী টিচার্স এসোসিয়েশন (বিটিএ) ২রা জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুমের মাধ্যমে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য আরও অনেক সংগঠনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত থাকা যুক্তরাজ্যস্থ কমিউনিটি এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রুবী হকের মৃত্যুত্তোর শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবু হোসেন। সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল বাসিত চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় যারা যুক্ত হয়েছিলেন তারা হচ্ছেন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের সভাপতি দেওয়ান গৌস সুলতান, সদ্যসাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুর রাকীব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রীপা রাকীব, কাউন্সিলর সাঈদা চৌধুরী, সমাজকর্মী লিলু আহমেদ, এবং বিটিএর সদস্যদের মধ্যে মিসবাহ কামাল আহমেদ, রেহানা খানম রহমান, সাবিতা শামসাদ, সেলিনা রহমান, মিসবাহ আহমেদ, ফারুক হোসেইন, মুনজেরিন রশীদ, মনসুর রশীদ, শেফা বেগম, সাজেদা আহমেদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, সুফিয়া আহমেদ, ডক্টর রোয়াব উদ্দিন, হাফিজ হাসান আহমেদ, শওকত মাহমুদ টিপু, এ কে এম ইয়াহিয়া, আব্দুল হান্নান, হাসনা রহমান, মঈন উদ্দিন, শাহ্ ফারুক আহমদ, জেসমিন আরা, জামাল আহমেদ, রাজিয়া বেগম, মাহবুব হোসেইন, শাফি আহমেদ ও প্রয়াত রুবী হকের স্বামী মুজিবুল হক মনি। কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও সামাজিক অনুষ্ঠান-সমাবেশ ইত্যাদিতে রুবী-মনি দম্পতির নিয়মিত সরব উপস্থিতি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্যক সংশ্লিষ্টতা সবার নজর কাড়তো। প্রয়াত রুবী হক ও মনি জুটির মধ্যকার মধুর সম্পর্ক প্রায় সবার কাছে প্রশংসনীয় ছিলো। জুমে সংযুক্ত সবাই সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার ঐকান্তিক নেতৃত্ব এবং সম্পৃক্ততার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের ভাষায় তিনি ছিলেন মেধাবী, পরিশ্রমী, খুবই আন্তরিক, অত্যন্ত স্পষ্টবাদী ও সুবিবেচক। কারো প্রয়োজনে বা সাহায্যে এগিয়ে আসতে কখনও কুণ্ঠাবোধ করতেন না। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ্য যে, কোভিডের অব্যবহিত আগে বিটিএর সর্বশেষ পিকনিকে সাউন্ড সিস্টেমের প্রয়োজন হলে, তিনি অল্প সময়ের নোটিসে অন্য আরেক জায়গায় থাকে তার জেনারেটর এনে তাতে নিজে জ্বালানী ভর্তি করে সাউন্ড সিস্টেম সহ আমাদের দিয়েছিলেন। সেই সমাবেশে তিনি ভীষণ আনন্দও করেছিলেন। সেক্রেটারী সাহেব জ্বলানীর মূল্য পরিশোধের সমূহ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তিনি যেমনি কখনও কোন ধরণের অন্যায়ের আশ্রয় নিতেন না, ঠিক তেমনি অন্যায়কে প্রশ্রয়ও দিতেন না। তার অকাল প্রয়াণে ব্রিটেনের বাঙ্গালী সমাজে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে অনেকে বলেছেন। পতিপ্রাণা এই নারী নেত্রী সফল মাতা হিসেবে স্বাক্ষর রেখে গেছেন তিনটি সন্তানকে মনের মত করে বড় করার মাধ্যমে। বলতে গিয়ে মুজিবল হক মনিও এমনটি উল্লেখ করেছেন। তার মতে, তিনি অর্থাৎ রুবী হক এখনও বিরাজমান। সমাজে আর পরিবারে তার অবদান ও কীর্তি তাকে তার সংস্পর্শে আসা প্রায় সবার স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে থাকবে নি:সন্দেহে। জনাব মনি তার প্রয়াত স্ত্রী ও পরিবারের জন্য দোয়া চেয়েছেন। এতে কোরান তেলাওয়াত করেন মো: ফারুক হোসেন এবং দোয়া পরিচালনা করেন হাফিজ হাসান আহমেদ। অনুষ্ঠানে সংযুক্ত সবাই দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিয়ে রুবী হকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং এই অসময়োচিত বিয়োগে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সবার ধৈর্যধারণের শক্তি লাভ ও বজায় থাকার জন্য জন্য দোয়া করেন। সবশেষে অংশগ্রহনকারী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং সবাইকে ধন্যবাদ আর শুভরাত্রি জানিয়ে সভাপতি জনাব আবু হোসেন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন