সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) বংশাল ও লালবাগ থানা কমিটির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।
আজ ১৬ এপ্রিল (শনিবার) বিকালে রাজধানী পুরান ঢাকার নয়াবাজার ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) বংশাল ও লালবাগ থানা কমিটির যৌথ উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস (আইএইচআরসি) 'র ইন্টারন্যাশনাল সেক্রেটারি জেনারেল ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)'র প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর সাইফূল ইসলাম দিলদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাজী আবু সাঈদ, বংশাল থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ আবুল খায়ের, ৩৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ অনোয়ার হোসেন, সংগঠনের ডেপুটি গভর্ণর ও ঢাকা পশ্চিম নির্বাহী সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভুইয়া, ডেপুটি গভর্ণর ও সাধারন সম্পাদক-ঢাকা মহানগর দক্ষিন সৈয়দ আজমুল হক, ডেপুটি গভর্ণর সদর দপ্তর জেসমিন আরা কবির, পুরান ঢাকার আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ আনোয়ার রাজ, সংগঠনের বিশেষ প্রতিনিধি সদর দপ্তর মোঃ মিজানুর রহমান বাপ্পি, ডেপুটি গভর্ণর সদর দপ্তর মোঃ ওবায়দুর রহমান টিটু , সহসভাপতি-ঢাকা মহানগর দক্ষিন তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দক্ষিণ পশ্চিম এর বিশেষ প্রতিনিধি এবং বংশাল থানা কমিটির সভাপতি মোঃ হায়দার রিয়াজ খান।
সঞ্চালনা করেন সংগঠনের লালবাগ থানা কমিটির সভাপতি ও এ গ্রেড আজীবন সদস্য মোঃ আসিফ বাপ্পী। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোঃ নুর আলম, মোঃ আব্দুল্লাহ রাজু, মোঃ মাসুম, মোঃ সুজন, হোসেন মোঃ নাদিম, মোঃ জিকু, মোঃ আল-আমিন, মোঃ জিহাদ খান, মোঃ সেন্টু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর সাইফূল ইসলাম দিলদার বলেন, "বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ১৯৮৭ সারে পুরান ঢাকার ওয়ারী থেকে অগ্রযাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা,থানা,পৌরসভা, ইউনিয়ন পর্যায়ে এমনকি বিশ্বের ৪১ টি দেশে বিস্তার লাভ করেছে। এই সংগঠনটি মানুষের কল্যাণ, মানবতার সেবা করে যাচ্ছে। নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। একজন মুসলমান হিসেবে অসহায় নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের জন্য কাজ করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বটে।"
তিনি বলেন,“ নামাজ-রোজা-হজ-যাকাত ফরজ করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ। কিন্তু মানবতার সেবা সবার উপরে। মানবাধিকার কমিশনে রিটায়ার্ডমেন্ট নাই। মৃত্যু যেদিন হবে সেদিন আর মানবতা নেই।মৃত্যুর পূর্ব মুর্হুত পর্যন্ত মানবতার কল্যাণ বা মানব সেবা করে যাওয়া হবে বড় ইবাদত, বড় পাওয়া।”
তিনি আরো বলেন,“ আমরা মানবতার কর্মী সে যে ধর্মে থাকিনা কেন, আমাদের মানুষের কল্যাণ করা উচিত, মানবতার সেবা করা উচিত। তবে আমাদের প্রকৃত ইবাদত হবে এবং প্রকৃত সাধনা হবে। লোক দেখানো নামাজ-রোজা করলাম কিন্তু যখন নিজের কর্মক্ষেত্রে বসে অসৎ পথে আয় করলাম, ঘুষ নিলাম এ গুলোর জন্য অবশ্যই বিচারের দিনে জবাব দিতে হবে।তাই সৎ উপার্জন করুন এবং সেই উপার্জিত অর্থের একটা অংশ দিয়ে মানবতার সেবা করুন এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আওয়াজ তুলুন তবেই আপনি প্রকৃত মানুষ হবেন এবং মানবতার প্রকৃত প্রেমিক হবেন।”
আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) বংশাল থানা কমিটির সহসভাপতি আল আমিন। সবশেষে, আমন্ত্রিত সকল অতিথি ও সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ একসাথে ইফতার করেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন