সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর আজিমপুর ২৭ নং খেলার মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আজিমপুরে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব। ১০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ হাসিবুর রহমান মানিকের উদ্যোগে সপ্তমবারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মাদ সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালবাগ থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব শেখ রানা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ হাসিবুর রহমান মানিক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মাদ সেলিম ও কাউন্সিলর আলহাজ হাসিবুর রহমান মানিক শিশুদেরকে নিজ হাতে পড়িয়ে দেন মুজিব কোর্ট।
এদিকে, কাউন্সিলর আলহাজ হাসিবুর রহমান মানিক এর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনুষ্ঠানে আজিমপুর, পলাশী, রসুলবাগসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।
আলহাজ হাসিবুর রহমান জিবি নিউজকে বলেন, "জাতির জনকের জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীন হতোনা। আজকে স্বাধীন বাংলায় বাংলাদেশের পত পত করে পতাকা উড়ছে সেটা বঙ্গবন্ধুর কারনে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃতে আজ বাংলাদেশ সারা বিশ্বে সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসবে দল-মত নির্বিশেষে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করছেন। তাদের এই অংশগ্রহণই প্রমাণ করে তারা বঙ্গবন্ধুকে অনেক ভালোবাসেন।এই উৎসবের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সম্পর্কে জানতে পারবে।"
তিনি আর বলেন, "এখানে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ছবি দিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্যালারী সাজানো হয়েছে। এই উৎসবে সব বয়সী মানুষের ভিড় আপনারা দেখতে পারছেন। মাঠের চারপাশে বসেছে হরেক রকমের দোকান এবং বিভিন্ন ধরনের রাইড। চলবে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পৃথকভাবে অংশ নিয়েছেন রচনা প্রতিযোগিতায়। ৫ থেকে ১০ বছরের শিশুরা অংশ নিয়েছেন বিস্কুট প্রতিযোগিতায়। মাঠের মাঝে চারপাশের চেয়ার গোল করে বালিশ খেলা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন নারীরা। নাগরদোলায় দুলছে শিশু-কিশোররা।"

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন