জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
বিপিএলের অষ্টম আসর শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে শীর্ষ ব্যাটসম্যানের আসনটি ধরে রাখতে চান মুশফিক।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলনের আগে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক বলেন, ‘আমি ঘুরে দাঁড়ানো বা জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা করছি না। আমার চিন্তায় বিপিএল। আলহামদুলিল্লাহ, বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আমি। আমার কাছে এটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জ যেন ওই জায়গাটা ধরে রাখতে পারি।’
প্রথম দিন দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে মুশফিকের দল। প্রতিপক্ষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল মিনিস্টার ঢাকা।
যদিও টেস্ট-ওয়ানডের চেয়ে তার টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান তুলনামূলক দূর্বল। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রান তোলায় মুশফিকুর রহিম চার নম্বর। তার ওপরে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলের হয়ে সাম্প্রতিক সময় ও নিকট অতীতে মুশফিকের পারফরম্যান্স মোটেই ভালো নয়। ছোট একটি পরিসংখ্যানই বলে দেবে মুশফিকুর রহিমের সবশেষ অবস্থা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে ৬০ রানের ইনিংস খেলার পর শেষ ১৬ টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি মোটে একটি।
গত বছরের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফিফটি (৫৭*) ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোয় ব্যর্থতার ঘানি টেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দল থেকে বাদও পড়েছেন। যা তার ক্যারিয়ারেই প্রথম। কারো কারো ধারণা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ মুশফিক হয়তো এই বিপিএল দিয়ে জাতীয় দলে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চান।
তিনি তা চাইতেই পারেন। কারণ বিপিএলে মুশফিকের অন্য চেহারা, ব্যাটের ভিন্ন রুপ। এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২২৭৪ রান তার। তাই বিপিএল এলেই মনে হয় মুশফিকের ব্যাট জ্বলে উঠবে। অনেকেই এবারের বিপিএলকে তার কামব্যাক টুর্নামেন্ট বলেই মনে করছেন।
আর এই আসরে ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী? তাও জানিয়ে দিয়েছেন মুশফিক। এমনিতে রাউন্ড রবিন লিগে ১০ ম্যাচ খেলতে পারবেন। আর নকআউট পর্বে যেতে পারলে থাকবে ১২ থেকে ১৩ ম্যাচ খেলার হাতছানি। ঐ ম্যাচগুলো থেকে যত বেশি রান করা যায়, সেটিই তার লক্ষ্য।
মুশফিকের ভাষ্য, ‘অন্তত ১০টি ম্যাচ তো খেলার সুযোগ পাবো। চেষ্টা করবো যাতে ১২-১৩টা ম্যাচ খেলা যায় ও যতবার সম্ভব (ফিফটি-সেঞ্চুরি করে) ব্যাট ওপরে ওঠানো যায়।’

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন