জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার জালিয়াতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন চৌধুরীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সাবরিনার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।
এর আগে, আইনজীবীর মাধ্যমে ডা. সাবরিনা শারমিন জামিন আবেদন করেন। ডা. সাবরিনা জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথ কেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে।
এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গত বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। সচার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
আলোচিত এ মামলায় ইতোমধ্যে চার্জশিটভুক্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন