জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্টদের দমনে গত ১৩ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। সারাদেশের মতো সিলেট বিভাগেও জোরদারভাবে চলমান রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২’। সম্প্রতি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পরপরই এ অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়।
১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১০ দিনে সিলেট বিভাগ, জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’-এর আওতায় সর্বমোট ৯১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা-সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে রাতভিত্তিক অভিযান ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। মোট ১০ দিনে সিলেট মহানগর এলাকায় গ্রেফতার ১৭ জন, জেলায় ২২ জন, মৌলভীবাজার ৪৩ জন, সুনামগঞ্জ ১ জন এবং হবিগঞ্জে কোনো গ্রেফতার নেই। তবে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মী গ্রেফতারে সিলেটের বিভাগীয় জেলাগুলোতে যে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলায়। তবে এসব অভিযানে এখন পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘ডেভিল হান্ট-২’ এর অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সদস্য নূরু মিয়া (৫৫), বড়লেখা উপজেলার ৮নং দক্ষিণভাগ উত্তর (কাঠালতলী) ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি মো. মিলাদ হোসেন (৪৬), কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. জুয়েল আহমেদ (৩৩), কুলাউড়া উপজেলার ২নং ভুকশিমইল ইউপি আওয়ামী লীগের সমর্থক জাকির হোসেন (৩৫), মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সক্রিয় সমর্থক রাজিব আহমেদ দিনার (৪৮), মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৯নং আমতৈল ইউপি ওয়ার্ড যুবলীগ সক্রিয় কর্মী রাজু আহমদ (৪৫), রাজনগর উপজেলার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুবলীগের সভাপতি মো. সাজ্জাদুর রহমান (৪৬) ও মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সদস্য রেদুয়ান আহমেদ (৪৫)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোররাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’-এর বিশেষ অভিযানে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. শাহ আলম (৫১)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঢালার পাড় গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ আলীর ছেলে। এছাড়া তিনি পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে থেকে জানানো হয় মৌলভীবাজারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. আব্দুল খালেক (৫৩), মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি মোস্তাফিজুল ইসলাম সোহাগ (৩৩), জুড়ী তৈয়বুচ্ছেছা খানম সরকারি কলেজের নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী আশরাফুল ইসলাম মারুফ (২২), কমলগঞ্জ পৌর যুবলীগের ৪ নং ওযার্ডের সাধারণ সম্পাদক এখলাছ মিয়া (২৬), বড়লেখা সদর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহেদুর রহমান শাহেদ (৩৮)।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মোফাজ্জল হোসেনকে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওড় তীরবর্তী ধুমাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর মানিকখিলা গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে ও ওই ইউনিয়নের সদস্য।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশের অভিযানে লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বড়বন্দ বাজার থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বানিগাজী এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা তারেক আহমদ (২৯)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বুধবারী বাজার ইউনিয়নের বানিগাজী গ্রামের মহরম আলীর ছেলে ।
একইদিন শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশের অভিযানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াদুদ দুদুকে উপজেলা দিঘীরপাড় ইউনিয়নের ঠাকুরেরমাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ‘ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ এর অভিযানে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার উত্তরবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোলাপগঞ্জ থানাধীন দাড়িপাতন এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে রুমেছ আহমদ (৩৫) ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমদ (২৫)। তারা দুইজন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা রাতে মৌলভীবাজারের উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নে ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এর অভিযানে মো. রেজুয়ান আহমদ নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. রেজুয়ান আহমদ জেলা যুবলীগের সদস্য বলে জানা গেছে। তিনি রাজনগরের উত্তরভাগ এলাকার জমির আলীর ছেলে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে থেকে জানানো হয় মৌলভীবাজারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতাররা হলেন- ছাত্রলীগকর্মী তোফায়েল হোসেন বাবলু, ৫ নম্বর কালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ মিয়া, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুমন আহমদ, কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল আলম, কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমির হামজা, বড়লেখা শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ০৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ খান, ছাত্রলীগকর্মী মো. মাহমুদ হাসান, শ্রমিক লীগ নেতা আল আমিন, যুবলীগ নেতা মো. সোহেল মিয়া।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর আওতাধীন অভিযান পরিচালনা করে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃরা হলেন- কুলাউড়া ৫নং ব্রাহ্মনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মমদুদ হোসেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবালা ইউনিয়নের পদিনাপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হক ওরফে রমজান, জুড়ী উপজেলা ওলামা লীগ সাধারণ মো. কবির মিয়া, কুলাউড়া ১৩নং কর্মধা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আল দীন প্রকাশ সেলিম মিয়া, বড়লেখা ৭নং তালিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী হাবিবুর রহমান, শ্রীমঙ্গল শ্রমিকলীগের কর্মী আলমগীর হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম, সদর উপজেলার ১২নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল কালাম আজাদ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ছাতক উপজেলা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল হালিম শিপন (৩৮)। উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৮)। এছাড়া বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জুগিরকান্দা গ্রামের লিয়াকত আলী মোল্লার ছেলে এমদাদুল হক তুহিন (৩৮)কেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারস্থ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মো. মমদুদ আহমদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সিলেট মহানগর পুলিশ ডেভিল হান্ট-২ এর পৃথক অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন আহমদ (৪০),যুবলীগ কর্মী আহমেদ হোসেন মুন্না (৩১), ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তারা মিয়া (৬৪), আওয়ামী লীগ কর্মী মোহাম্মদ আলী বলি, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি কামাল হোসেন (৫৬), মোঃ ইয়াহিয়া (৪২), সদর উপজেলা তাতী লীগের সভাপতি দিলোয়ার হোসেন (৪৫), বিজিতলাল উজ্জল ওরফে নিধিররঞ্জন (৩৫) ও নূরুল ইসলাম (৬০)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরে সিলেটে ‘ডেভিল হান্ট ফেইস-২’ অভিযানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপিত তারা মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার ৩ নং খাদিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সিলেট মহানগর পুলিশ ডেভিল হান্ট-২ অভিযানে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কামাল হাসান সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বের)বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথে ‘ডেভিল হান্ট ফেইস-২’ অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মোবারক পৌর শহরের মশুল্লা (জানাইয়া) গ্রামস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ মোবারককে গ্রেফতার করে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সাড়ে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জুয়েলকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দিরাই থানা পুলিশ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে সুনামগঞ্জের শাল্লায় ডেভিল হান্ট-২ এর অভিযানে শাল্লার ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার থেকে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বাদল চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বাহাড়া ইউনিয়নের ডুমরা গ্রামের মৃত মাখন লাল দাসের ছেলে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর)ও মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর অভিযানে মৌলভীবাজার জেলায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেফতারকৃরা হলেন- শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. হরিপদ রায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৬নং একাটুনা ইউপি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাজ্জাদুর রহমান, রাজনগর উপজেলার ৮নং মনসুরপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আব্দুন নূর গুলু, জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ প্রকাশ ফয়সাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা জমসেদ খা, বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, কমলগঞ্জ ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি চন্দন কুর্মী, কুলাউড়া ছাত্রলীগ কর্মী ইমন আহমেদ ও তাহসিন হাসান বিজয়, শ্রীমঙ্গল আওয়ামী লীগের কর্মী ইসমাইল হোসেন রাজন ও জুড়ী ফুলতলা ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী অশোক দেববর্মা প্রমুখ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের জকিগঞ্জে ‘ডেভিল হান্ট ফেইস-২’ অভিযানে উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল আহাদ জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল আহাদ, বারহাল ইউপি আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ লখাই, কসকনকপুর ইউপি এলাকার বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য শামিম আহমদ, জকিগঞ্জ পৌরসভা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল আহাদকে ও বিকেলের দিকে বারহাল ইউপি আওয়ামী লীগের ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ লখাইকেও গ্রেফতার করা হয়। এরআগে সোমবার রাতে গ্রেফতার হন পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শামিম আহমদ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের অংশ হিসেবে দিরাই উপজেলার নতুন বাগবাড়ী গ্রামের ছুরত মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা উজ্জ্বল এবং রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সুকুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে পৌর শহরের কলেজ রোডস্থ জয়নগরপাড়া আবাসিক এলাকায় নিজ বাসা থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. হরিপদ রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অভিযানে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল বাছিতকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি পৌরসভার খাসড়ীপাড়া গ্রামে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বের) দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সিলেটের বিশ্বনাথে ‘ডেভিল হান্ট ফেইস-২’ অভিযানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহনুর হোসাইন এবং উপজেলার রামপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনসুর আহমদকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলার লামাকাজী বাজারস্থ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা শাহনুর হোসাইনকে এবং সোমবার দিবাগত (১৫ ডিসেম্বের) গভীর রাতে রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা মনসুর আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পৌর কমিটির সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম সাকেল (৩২)সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অপর দু’জন হলেন আওয়ামী লীগ নেতা চারখাইয়ের বেলাল আহমদ (৪৫) ও কুড়ারবাজারের আলী আহমদ (৫০)। এই মামলার বাদী দুবাগের তাজিম চৌধুরী। ৫ আগস্টের ঘটনায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। সাকেলের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট পরবর্তী একটি হত্যা মামলা এবং চিনি ছিনতাই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ‘ডেভিল হান্ট ফেইস–২’ -এর অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সজিবুল ইসলাম (৩৫)কে কালিবাড়ি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মো. সজিবুল ইসলাম (৩৫)। তিনি কালিবাড়ি গ্রামের মো. সামছুল ইসলামের ছেলে এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে সিলেটের মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন পাঠানপাড়া এলাকার নিজ বাড়ী থেকে থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ছয়েফ খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় শাহপরাণ (রহ.) থানায় ১টি মামলা রয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৩টার দিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া বদিকোনা এলাকায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর আওতায় অভিযান চালিয়ে দুই যুবলীগ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পাড়ুয়া বদিকোনার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সদস্য জামাল মিয়া (৩৯) ও একই এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে রাসেল মিয়া (৪০)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলাল মিয়াকে এবং পরে রাত ৮টায় মাইজগাঁও বাজার এলাকা থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুর রহমান রুমানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টায় দিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় ডেভিল হান্ট ফেস-২ অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল আহমদ ও পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলীকে আটক করা হয়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের সাদিপুর বাজারে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইস-টু অভিযানে পুলিশ দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা কামিল আহমদকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার কামিল আহমদ সাদিপুর (আনাপুর) গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ও রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর আওতায় সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বা তার অঙ্গ-সংগঠনসমুহের নেতাকর্মী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কায়স্তরাইলের কনকর্ড আবাসিক এলাকার ৮নং সড়কের ৯২নং বাসার মৃত ইসহাক মিয়া ও নুরজাহান বেগমের ছেলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য তায়েফ আহমদ (৩৬), সুনামগঞ্জের দিরাই থানাধীন ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত বিটু মিয়ার ছেলে বর্তমানে এয়ারপোর্ট থানাধীন হাউজিং এস্টেটের ৪নং লেনের ২১নং বাসার মো. ফেরদৌস রহমান (২৩), জালালাবাদ থানার সোনাতলা গ্রামের খুরশিদ আলীর ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তানজির আলী (৩৫), মোগলাবাজার থানার জাহানপুরের মৃত সাজিদ আলী ও মৃত আলফাতুন নেছার ছেলে, মোগলাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আবিদুর রহমান আবিল (৪৬), সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহপরান থানার সাদিপুর নোয়াগাঁওয়ের মৃত আনছার আলীর ছেলে মুমিনুল ইসলাম মুমিন (৩৫) ও শাহপরাণ থানার মেন্দিবাগ এলাকার মৃত তাজ উদ্দিনের ছেলে ও মহানগর যুবলীগের সক্রিয় সদস্য তুহেল আহমদ (৩৩)।
এদিকে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর আওতায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী ঘরানার নেতাকর্মীদের মধ্যে যখন ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা, তখন ভাগ্য বটে সিলেটের ফয়েজের। এই ছাত্রলীগ নেতা পুলিশের থাবা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ধরেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ কেউ বলছেন তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তার স্বজনরা। পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা ফয়েজ (৩০)। তিনি শহরতলীর নাজিরেরগাঁও এলাকার মকবুল মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শহরতলীর নাজিরেরগাঁও কিডনি ফাইন্ডেশনের পাশে এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান। এটি আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তারা যদি আগ্নেয়াস্ত্র চান, তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া যাদের আগ্নেয়াস্ত্র সরকারের কাছে জমা থাকে, সেগুলো ফেরত দেওয়া হবে।’
সিলেট জেলা সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশব্যাপী চলমান অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর অংশ হিসেবে সিলেট জেলা পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গোপন তথ্য ও গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে অভিযান চলমান রয়েছে।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২-এর আওতায় মহানগর এলাকায় নিয়মিত টহল, চেকপোস্ট এবং লক্ষ্যভিত্তিক অভিযান জোরদার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা রয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে এই বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন