থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কম্বোডিয়ার হামলায় এক শিশুসহ নয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১৪ জন। খবর এএফপির।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিসাকেট প্রদেশের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। এছাড়া সুরিন এবং উবোন রাতচাথানি প্রদেশে আট বছর বয়সী এক ছেলে শিশুসহ আরও তিনজন নিহত হয়েছে।
মূলত দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোরে উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়ার ওদ্দার মিনচে প্রদেশে অবস্থিত বিতর্কিত তা মোয়ান থম মন্দিরের কাছে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর দাবি, সংঘর্ষ শুরু করেছে কম্বোডিয়ান বাহিনী। তারা বলছে, কম্বোডিয়ার সেনারা একটি নজরদারি ড্রোন মোতায়েনের পর ভারী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায়, যার মধ্যে ছিল আর্টিলারি ও দূরপাল্লার বিএম২১ রকেট। থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচা সুকসুয়ানন সাংবাদিকদের জানান, হামলায় অন্তত দুই সেনা আহত হয়েছেন।
থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকার ৮৬টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় প্রশাসন।
এক বিবৃতিতে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাইল্যান্ডই প্রথমে আক্রমণ চালায়। তারা বলছে, নিজেদের সেনাদের ওপর হামলা হলে কম্বোডিয়ান বাহিনী আত্মরক্ষার্থে পাল্টা জবাব দেয়।
কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হুন সেন সামাজিক মাধ্যমে বলেন, থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী ওদ্দার মিনচে ও প্রেয়াহ ভিহেয়ার প্রদেশে গোলাবর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনীর লড়াই করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।
তবে তিনি জনগণকে শান্ত থাকতে বলেন ও চালসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের অযৌক্তিক মজুত বা আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটায় না যেতে আহ্বান জানিয়েছেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন