মিয়ানমার জান্তার প্রশংসায় খুশি হয়ে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করলেন ট্রাম্প

gbn

মিয়ানমারের সেনা শাসক মিন অং হ্লাইংয়ের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জানা গেছে, এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যহারের আগে ট্রাম্পের প্রশংসায় একটি চিঠি লেখেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারপ্রধান মিন অং হ্লাইং।

 

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি নোটিশের বরাত দিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার তথ্য জানায় ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো কারণ উল্লেখ করেনি এবং হোয়াইট হাউস থেকেও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এএফপি বলছে, দুই সপ্তাহ আগে মিন অং হ্লাইং ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠিতে তিনি ট্রাম্পের শাসনামলের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি মিয়ানমারের সংঘাত নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো বন্ধ করার জন্যও ট্রাম্পের প্রশংসা করেন মিন।

 

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার একটি নোটিশ প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, জান্তা ঘনিষ্ঠ কেটি সার্ভিসেস অ্যান্ড লজিস্টিকস, মিয়ানমার কেমিক্যাল অ্যান্ড মেশিনারি কোম্পানি এবং সানট্যাক টেকনোলজিস- এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনাকারী ব্যক্তিদের নামও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

কেটি সার্ভিসেস অ্যান্ড লজিস্টিকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাথন মিও কিয়াও থাউংকে ২০২২ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল। কারণ প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৩০ লাখ ডলারের বিনিময়ে সামরিক মালিকানাধীন একটি কোম্পানি থেকে ইয়াঙ্গুন বন্দরের লিজ নিয়েছিল।

অন্যদিকে, মিয়ানমার কেমিক্যাল অ্যান্ড মেশিনারি কোম্পানি ও এর মালিক আউং হ্লাইং উ এবং সানট্যাক টেকনোলজিসের মালিক সিট তাইং আউংকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় অস্ত্র তৈরি, বিশেষ করে ট্যাঙ্ক ও মর্টার উৎপাদনের কারণে।

 

টিন লাত মিন নামে আরও একজন মিয়ানমারের নাগরিককে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাকে এর আগে মিয়ানমারের শাসক গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন কোম্পানির মালিক বলে উল্লেখ করেছিল।

২০২১ সালে মিন অং হ্লাইং সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন। সেই থেকে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ, যা এখন পর্যন্ত হাজারো মানুষের প্রাণ নিয়েছে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধে ৩৫ লাখ মানুষ গৃহহীন ও দেশের অর্ধেক জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।

সূত্র: এএফপি

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন