জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
তাকে অভিনেত্রী না বলে লেখিকা বললেই বেশি খুশি হন তিনি। কারণ, অভিনয় করাটা নাকি কোনো দিনই তার শখের তালিকায় ছিলো না। রোমান্স কিং রাজেশ খান্না ও অভিনেত্রী ডিম্পল কপাডিয়ার কন্যা হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেকে ক্যামেরার সামনে আনতে চাননি। সেই টুইঙ্কেল খান্না ৪৭’তে পা দিলেন। বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধে দু’তিনটি ফিল্ম তিনি করে ফেলেছিলেন। সেগুলোর মান নিয়ে মশকরা করেন খোদ টুইঙ্কেল।
পড়াশোনা হোক বা রাজনৈতিক মতবাদ অথবা রসিকতা করার দক্ষতা, টুইঙ্কেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে তার শত্রুর সংখ্যায় কিছু কম নয়। স্পষ্টবক্তা টুইঙ্কেলকে মেনে নিতে পারেন না অনেকেই। আজ সেই মানুষটারই জন্মদিন।
ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তারকা দম্পতি সাইকেল রাইডে বেরিয়েছেন। ঘিয়ে রঙের ঢলা টপ ও ডেনিম, চোখে রোদ চশমা পরে টুইঙ্কেল খান্না। প্রকৃত বয়স বোঝা দায়। মোনালিসার ছবি আঁকা কালো রঙের জগারে পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অক্ষয় কুমার।
ক্যাপশনে লেখা, আরো একটি বছর আসতে চললো। যেখানে ফের জীবনের জটিলতম সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে। কিন্তু সেগুলো আমাকে একা নিতে হবে না। আমি এটা ভেবেই খুশি যে সিদ্ধান্তগুলো আমরা দু’জনে মিলে নিতে পারবো। শুভ জন্মদিন টিনা।
টুইঙ্কেল খান্না ও অক্ষয় কুমারকে নিয়ে হাজারো প্রশ্ন মানুষের। কারো প্রশ্ন, আপনাদের দু’জনের রাজনৈতিক মতাদর্শ কি একই? মনে তো হয় না। তা হলে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হয় না?
কারো আবার মন্তব্য, টুইঙ্কেল খান্না বইয়ের পোকা। আর অক্ষয় কুমারকে কোনো দিন বই নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়নি!
খুব সুন্দর করে এই সমস্ত প্রশ্নকে এড়িয়ে গিয়েছেন তারা। এমনকি টুইঙ্কলকে এটাও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তিনি বিয়ের পর কেন নিজের পদবী বদলে ‘কুমার’ রাখেননি? একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এর উত্তর দিয়েছিলেন।
টুইঙ্কেল বলেছিলেন, আমি অক্ষয়কে বিয়ে করেছি। কোনো ব্র্যান্ডকে বিয়ে করিনি। বিষয়টা তো এ রকম নয় যে একটি বড় ব্র্যান্ড একটি ছোট ব্র্যান্ডকে কিনে নিলো। তারপর ছোট ব্র্যান্ডটি নিজের নাম বদলে ফেলে সেই ব্র্যান্ডের নামে নাম রাখলো।
তার উত্তরে চুপ করে গিয়েছিলো গোটা দেশ।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন