জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
ভালো শট দিয়ে আবেগে ভাসলেন বলিউড অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা। ছবির শুটিংয়ের শেষে পরিচালককেই ছুটে আসতে হলো নায়িকাকে সামলাতে।
মুম্বাইয়ে, পরিচালক বিশাল ফুরিয়ার ছবি ‘ছোরি’র শুটিং করছিলেন নুসরাত। ভয়ের ছবি। তাই আগে থেকেই কিছুটা টেনশনে ছিলেন অভিনেত্রী।
নায়িকার কথায়, ‘আমি একটু ভীতু। ভূতের সিনেমা দেখতে ইচ্ছে করে ঠিকই কিন্তু, হরর মুভির বেশিরভাগটাই দেখি দু’হাতে মুখ ঢেকে।
তবে যে শট দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন নায়িকা সেটি কোনো ভয়ের দৃশ্য ছিলো না। বরং বেশ গভীর আর আবেগঘন একটি দৃশ্যেই অভিনয় করছিলেন তিনি। কিন্তু, কান্নার দৃশ্যের শট সম্পূর্ণ হওয়ার পরও দেখা গেলো কান্না থামতেই চাইছে না নায়িকার।
একটি সাক্ষাৎকারে নুসরাত জানিয়েছেন, হ্যাঁ, এটা ঠিকই যে, ছবির সেটেই আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। এমনই কান্না যে পরিচালক কাট বলার পরও থামতে পারিনি। আমাকে ওভাবে কাঁদতে দেখে পরিচালক ছুটে আসেন।
কেন কান্না তার কারণ জানতে চাওয়ায় নুসরাত বলেন, জানি না ঠিক কী হয়েছিলো, এতোদিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তির ক্লান্তি না কি নিজের সবচেয়ে ভালোটা দিতে পারার আবেগ। আমি কান্না থামাতেই পারছিলাম না।
আসলে স্বভাবে ভীতু নুসরাতের কাছে ভয়ের ছবি ‘ছোরি’র কাজটা নেওয়াই ছিলো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। অতিমারি পরিস্থিতিতে এতোদিন পর কাজ শুরু করে সেই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে নিজের সেরাটা দিতে পেরেই আর নিজেকে সামলাতে পারেননি নুসরাত।
প্রসঙ্গত, ‘ছোরি’ সিনেমাটি মরাঠি হিট ছবি ‘লাপাছাপি’র হিন্দি রিমেক। প্রাচীন সামাজিক উপকথার উপর তৈরি ওই ছবির গল্প ঘুরেছে এক অন্তঃসত্ত্বার নিজের সন্তানের জন্য অশুভ শক্তির সঙ্গে লড়াই করার বিষয় নিয়ে।
এর আগে নুসরত কাজ করেছেন হনসল মেহতার খেলাধুলো সংক্রান্ত সিনেমা ‘ছলাং’তে।ছবিতে তার সহ অভিনেতা ছিলেন রাজকুমার রাও।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন