দিনের চতুর্থ বলে ম্যাথিউ হামফ্রেস পরাস্ত করলেন মুশফিকুর রহিমকে, বল লাগল প্যাডে। জোরালো আবেদনের পর আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে ওই সেকেন্ডের ভগ্নাংশ যে বিরাট কাঁপুনি দিয়ে গিয়েছিল সমর্থকদের বুকে, তা একরকম নিশ্চিত। পরের বলও ব্যাটের কানা এড়িয়ে গিয়ে জমা পড়ল কিপারের হাতে। ওভার শেষ হামফ্রেসের, মুশফিকের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হলো আরও একটু।
তবে সে অপেক্ষাটা শেষ হয়ে গেল পরের ওভারেই। জর্ডান নেইলের ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিতেই ইতিহাস এসে লুটিয়ে পড়ল মুশফিকুর রহিমের। ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম। যদিও মুশফিক একটা জায়গায় এখন অনন্য। এই তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি যে তিনি।
এই সেঞ্চুরিতে আরও একটা রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩টি সেঞ্চুরি এখন তার। এই রেকর্ডে তার সঙ্গী হিসেবে আছেন মুমিনুল হক।
মুশফিক ইতিহাস গড়ার এই ইনিংসে নেমেছিলেন প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই। ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন কিছুটা ব্যাকফুটেই ছিল। তবে তিনি সে চাপটা সামাল দেন ভালোভাবে। প্রথমে মুমিনুলের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি, তার বিদায়ের পর গড়ে লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাধেন মুশফিক। তাদের জুটিও সেঞ্চুরির পথে।
তার আগেই নিজের সেঞ্চুরিটা তুলে নেন মুশফিক। ১৯৫ বলে ৫ চার মেরে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন