৪৮তম ওভারে বোলিং করতে আসা সাইফ হাসানকে প্রথম বলেই লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মারলেন মোহাম্মদ নবী। এই ছক্কাতেই আফগানিস্তানের কাজ সুসম্পন্ন! বাংলাদেশে করা ২২১ রান আফগানরা টপকে গেল ১৭ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই।
সর্বশেষ আট ওয়ানডের মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ওই বৃত্ত ভাঙতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ।
আফগানদের টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার মোমেন্টাম নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুরোনো রোগ ব্যাটিং ব্যর্থতায় বুধবার রাতে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে আফগানদের কাছে হারতেই হলো তাদের।
এদিকে উইকেট দেখে ভালো রানের আশায় টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতা, মিডলে তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজ ফিফটি পেলেও ইনিংস বড় করতে না পারা এবং লোয়ার মিডল অর্ডার তাদের ১০১ রানের জুটিকে পুঁজি করতে না পারায় বাংলাদেশ সাত বল থাকতে ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
শুরুর ধাক্কায় বাঁধ দিলেও শেষটায় পারেনি বাংলাদেশ।
অথচ, চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়ে কী দুর্দান্ত ব্যাটিংটাই না করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ইনিংসের ৩৬তম ওভারে কী যেন হলো দুজনের।
সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে কাটা পড়লেন হৃদয়।
তার আউটের পর আর ইনিংসে বাঁধ দেওয়া যায়নি।
শেষ ৭ উইকেট যে ৬৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। মাঠ ছাড়ার আগে হৃদয় খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস।
ইনিংসটি সাজান ৩ ছক্কা ও ১ চারে। সতীর্থর বিদায়ের পর অধিনায়ক মিরাজও বেশিক্ষণ টেকেননি।
১ চার ও ১ ছক্কায় ব্যক্তিগত ৬০ রানে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান।
মিরাজকে এলবিডব্লিউ করে আফগানিস্তানের প্রথম বোলার হিসেবে ২০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন রশিদ খান। পরে আরো দুটি এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশের ইনিংসই ভেঙে দেন আফগান লেগস্পিনার। তার মতো সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই শুরুতে বাংলাদেশকে ধাক্কা দেন।
ওমরজাইয়ে দারুণ বোলিংয়েই দলীয় ৫৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। যার প্রথম দুটিই নেন ওমরজাই।
আর শেষ দিকে বাংলাদেশকে ২০০ রান পার করে দিতে ১৭ রানের ইনিংস খেলা তানজিম হাসান সাকিবকে ফেরান। আফগানিস্তানের পেসার শুরুর তোপ সামলিয়ে চতুর্থ উইকেটে সেঞ্চুরি জুটি গড়ে বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছিলেন মিরাজ-হৃদয়। কিন্তু হৃদয়ের সেই রান আউট পরে সব শেষ করে দিয়েছে।
পরে জবাবে নেমে ৫২ রানের ওপেনিং জুটি পায় আফগানিস্তান। ইব্রাহিম জাদরানকে (২৩) শুরুতে ফেরান বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর। ছয় রানের ব্যবধানে সাদিকুল্লাহ আতালকে (২) আউট করেন তানজিম। কিন্তু রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও চারে নামা রহমত শাহ ৭৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ সহজ করে নেন। রহমত ৭০ বলে দুই চারের শটে ৫০ এবং গুরবাজ ৭৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৫০ রান করে দলের ১৩৬ রানে পরপর আউট হন। বাকি পথটা পাড়ি দেন অধিনায়ক শহিদী ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। এর মধ্যে পেস অলরাউন্ডার ওমরজাই ৪০ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রান করে ফেরেন। শহিদী হার না মানা ৩৩ রান করেন।
বাংলাদেশের পেসার তানজিম তিন উইকেট নিলেও তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন