গত ডিসেম্বরে বিকেএসপির চাকরি ছেড়েছেন জয়া চাকমা। সাবেক এই ফুটবলার জার্সি-বুট খুলে রেখেই এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুরু করেছিলেন কোচিং পেশা। কোচিং তার পেশা হলেও দেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি রাঙ্গামাটির এই যুবতি। দেশ-বিদেশে কিছুদিন আগে কোচিংয়ে এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স সনদ পেয়ে বলছিলেন, ‘আমি এখন ক্লাব কোচিংয়ে মনোযোগ দিতে চাই। পারফরমেন্স লেভেলে কাজ করতে চাই। এ জন্যই বিকেএসপিতে ৮ বছর চাকরি করে ইস্তফা দিয়েছি।’
ক্লাব কোচিংয়ের আগেই তিনি পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ। বাফুফে তাকে যোগ করেছে নারী ফুটবলের কোচিং স্টাফে। আগামী বছর চীনে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপ। এই প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে বাংলাদেশ খেলবে ‘এইচ’ গ্রুপে। বাংলাদেশ গ্রুপের খেলা হবে আগামী অক্টোবরে জর্ডানে। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে।
অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর সাইফুল বারী টিটু। তার সহকারী হিসেবে জয়া চাকমাকে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। এ বিষয়ে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘আপাতত জয়া চাকমাকে জর্ডান সফরের জন্য নিয়েছি।’
জর্ডানে বাংলাদেশের ম্যাচ দুটি ১৩ ও ১৭ অক্টোবর। এই দুই ম্যাচের জন্য সম্ভবত ৫ অক্টোবর দল চলে যাবে। জর্ডান যাওয়ার পথে বাংলাদেশ দল সফর করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ে বাংলাদেশ দুটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবে আরব আমিরাত ও সিরিয়ার সাথে। তারপর দল চলে যাবে জর্ডান।
জয়া চাকমা বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। তিনি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘আমি বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টরকে জানিয়েছি ২ অক্টোবর দেশে ফিরে সরাসরি ক্যাম্প যোগ দেবো। বিকেএসপির চাকরি ছাড়ার পর আমি পারফরমেন্স লেভেলে কাজ করার সুযোগ খুঁজছিলাম। ক্লাব কোচিংয়ে যোগ দেওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছিলাম। এখন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি চেষ্টা করবো নিজের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগানোর।’
জয়া চাকমা ফুটবল খেলেছেন ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। বিজেএমসির হয়ে জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলেছেন ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। দিপালী সংঘের হয়ে লিগ খেলেছেন ২০১৩ সালে। তিনি ২টা ইন্দো-বাংলা গেমসে খেলেছেন। ২ বার এএফসি কোয়ালিফাইং খেলেছেন এবং ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে খেলেছেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন