অভিষেক শর্মার ঝড়ে বিপরীতে রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের হয়ে লড়লেন সাইফ হাসান। তবে শুধু লড়েছেনই। বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে পারেননি এই ব্যাটার। তার ফিফটিটা পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।
ভারতের কাছে ৪১ রানে হেরে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য ‘অঘোষিত ফাইনাল’। আগামীকাল বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে যে দল জিতবে তারাই ফাইনালে যাবে। সঙ্গী হিসেবে পাবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যত রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ আজও সেই ১৬৯ রানের লক্ষ্য পায়।
তবে আজ হাসিমুখে নয়, পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন জাকের-সাইফরা। জয় পাবে কি করে? সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ম্যাচ জিততে হলে ইনিংসের শুরুটা ভালো হতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ দলীয় ৪ রানে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে (১) হারায়।
দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলান সাইফ।
কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ২১ রানে ফেরেন পারভেজ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। এতটাই যে সাইফ ও ইমন ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি।
এক প্রান্ত আগলে রেখে শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন সাইফ। ফিফটি করার পর তিনবার লাইফ পাওয়া সাইফ শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৬৯ রানে।
৫ ছক্কার বিপরীতে ৩ চার মেরেছেন তিনি। বাংলাদেশকে ১২৭ রানে অলআউট করার ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব।
এর আগে দুবাইয়ে ঝড় তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা। তার ঝড়ের সৌজন্যেই প্রথম ৩ ওভারে ১৭ রান করা ভারত পাওয়ার প্লে শেষ করে বিনা উইকেটে ৭২ রানে। বাঁহাতি ব্যাটারকে অবশ্য সঙ্গ দিয়েছেন শুবমান গিল। দুজনে মিলে ওপেনিংয়ে ৩৮ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন।
গিল ২৯ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুত শিবম দুবে ফিরলেও অভিষেকের ব্যাটিং তাণ্ডব থামছিল না। যখন থামলেন ততক্ষণে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন। ২০২.৭০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান ৫ ছক্কা ও ৬ চারে। তবে কোনো বোলার তাকে থামাতে পারেনি। দুর্দান্ত ফিল্ডিংকে বল ধরে মুস্তাফিজুর রহমানের সহায়তায় ভারতীয় ওপেনারকে ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন।
অবশ্য অভিষেকের ইনিংস ৭ রানেই থামতে পারত। কিন্তু তানজিম হাসান সাকিবের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিলেও ধরতে পারেননি জাকের আলি অনিক। তাকে থামানোর আগে গিল ও দুবেকে ফিরিয়ে ভারতের শুরুর ঝড়ও থামান লেগস্পিনার রিশাদ। ২৭ রানে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন তিনি।
তবে শেষ ১০ ওভারে দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশ। অন্যথা ১৬৯ রান নয়, আরো বড় লক্ষ্য পেত লিটন দাসের বদলে অধিনায়কত্ব করা জাকেরের দল। কেননা প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬ রান করা ভারতে বাকি ৬০ বলে নেয় মাত্র ৭২ রান। তাতে বড় অবদান ৩৮ রান করা হার্দিক পান্ডিয়ার। ৪ চার ও ১ ছক্কায় এই ইনিংসটি সাজান ভারতীয় অলরাউন্ডার।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন