জুড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্বে অনিয়মের অভিযোগ - শিক্ষা সেবা ব্যহত

gbn

জালালুর রহমান, জুড়ী (মৌলভীবাজার) মৌলভীবাজারের জুড়ীতে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলার খবর পাওয়া গেছে। 

যার ফলে, অত্রাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হলো কাপনা পাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজকুমার নাথ। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নূর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশা রানী দেবী। 

জানা গেছে, জুড়ী উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে মোট ৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতোকটিতে ১জন করে প্রধান শিক্ষক এবং একাধিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে তাদের আগমন এবং প্রস্থান বেধে দেয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট হতে সময় নির্ধারণ করলেও ওইসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীরত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অনেকেই কতৃপক্ষের নির্দেশ কে উপেক্ষা করে নিজেদের খুশিমতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। 

সম্প্রতি সরেজমিনে ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ৩টি বিদ্যালয় যথাক্রমে কাপনা পাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজকুমার নাথ সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটে আগমন করেন, সহকারী শিক্ষক জনি দে ৯টা ৩৪ মিনিটে আগমন করেন, সহকারী শিক্ষক আশিদা বেগম ৯টা ৩৯ মিনিটে আগমন করেন। উল্লেখ্য, কাপনা পাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অবহেলার ফলে ওই সব শিক্ষকেরা নিজেদেরই ইচ্ছা মাফিক আগমন করেন। 

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নূর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশা রানী দেবী সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে আগমন করেন, সহকারী শিক্ষক রুহানা আক্তার ৯টা ২০ মিনিটে আগমন করেন। হাসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিকাল ৩ টা ২০ মিনিটে গিয়ে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয় ওই সময় তালাবদ্ধ ছিলো।

ওইসব এলাকায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের সাথে কথা হলে, ভুক্তভোগীরা বলেন, সরকার আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বানাইয়া দিয়েছেন। শিক্ষক ও দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষকরা  সময়মতো আসে না। আমরা ওই শিক্ষকদের বিচার চাই। আমাদের দাবি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়টি খোলা হোক এবং বন্ধ হোক। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজকুমার নাথ ও প্রধান শিক্ষক আশা রানী দেবী সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, জুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাশ চৌধুরী বলেন আগমন ও প্রস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। 

মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন