ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তাঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বয়সের ব্যবধান, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও রাজনৈতিক উচ্চতার মধ্যেও টিকে থাকা তাদের প্রেম ও বৈবাহিক সম্পর্ককে অনেকেই দেখেন ব্যতিক্রমী এক ভালোবাসার দৃষ্টান্ত হিসেবে।
ম্যাক্রোঁ যখন অ্যামিয়ঁ শহরের লা প্রোভিদঁস ক্যাথলিক স্কুলের ১৫ বছর বয়সী ছাত্র, তখনই তার পরিচয় হয় ৩৯ বছর বয়সী নাট্যশিক্ষিকা ব্রিজিত ত্রনিয়োর সঙ্গে। ব্রিজিত ছিলেন বিবাহিত এবং তিন সন্তানের মা। কিন্তু স্কুল থিয়েটারের সেটেই শুরু হয় তাদের ঘনিষ্ঠতা। সে সময়ের গল্প বিশদভাবে তুলে ধরেছেন ফরাসি সাংবাদিক সিলভি বোমেল, তার আলোচিত বই ‘ইল ভনেই দাভোয়ার ডিজ-সেত আন’ (তার বয়স তখন সবে সতেরো)-এ।
বইয়ে বোমেল লিখেছেন, এই সম্পর্ক নিয়ে স্কুলে ও শহরে তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। অনেকেই এটিকে গ্রহণ করতে পারেনি। ব্রিজিতকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল—নিজের পরিবার, সন্তান এবং পেশাগত অবস্থান নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ সেই বয়সেই ছিলেন চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী ও পরিণত মানসিকতার অধিকারী। তিনি জানতেন কী চান—এবং সেটি ছিল ব্রিজিত।
সিলভি বোমেলের ভাষ্যমতে, ম্যাক্রোঁর বাবা-মা প্রথমে এতটুকু ছেলের এমন সম্পর্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এবং তাকে প্যারিসে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে সম্পর্কটা ভেঙে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্পর্ক টিকে থাকে এবং পরিণয়ে গড়ায়।
২০০৬ সালে ব্রিজিত আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ করেন। এরপর ২০০৭ সালের ২০ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাক্রোঁ-ব্রিজিতের বিয়ে। বিয়ের সময় ম্যাক্রোঁর বয়স ছিল ২৯, আর ব্রিজিতের ৫৪।
২০১৭ সালে ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই সঙ্গে ব্রিজিত হন ফার্স্ট লেডি—যার অতীত নিয়ে বহু বিতর্ক থাকলেও, তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, শিক্ষা সংক্রান্ত ভূমিকা এবং রাষ্ট্রীয় উপস্থিতি আজ প্রশংসিত।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন